×

সারাদেশ

উন্নয়নকাজের ধীরগতিতে ঘাটাইলে বেহাল দশায় মহাসড়ক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২০, ০৭:০৯ পিএম

উন্নয়নকাজের ধীরগতিতে ঘাটাইলে বেহাল দশায় মহাসড়ক

ঘাটেইলে বেহাল দশায় ময়মনসিংহ-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক

উন্নয়নকাজের ধীরগতিতে ঘাটাইলে বেহাল দশায় মহাসড়ক
উন্নয়নকাজের ধীরগতিতে ঘাটাইলে বেহাল দশায় মহাসড়ক
টাঙ্গাইলে-জামালপুর মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে জামালপুর সদর হয়ে সরিষাবাড়ী পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলছে। সড়কের ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ডসহ পৌর এলাকায় সড়ক খোঁড়া-খুঁড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্রপাতি নিয়ে চলে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ফেলে রাখায় রোদে ধূলা এবং সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমছে হাঁটুপানি। দেখা দিচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। সড়কে বড় বড় গর্তের সাথে হাঁটু সমান কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে কাঁদা আর রোদে ধূলায় চরম ভোগান্তিতে আছে এলাকাবাসি। এলেঙ্গা- জামালপুর পর্যন্ত সড়কের ৭৭ কিলোমিটার অংশে প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়েছে গত বছর জানুয়ারি থেকে। কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছর জুন মাসে। পাঁচ ভাগে সড়কের এ কাজ হচ্ছে। এলেঙ্গা থেকে মধুপুর পর্যন্ত তিনটি অংশে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন। শুরু থেকেই ধীরগতির কাজের অভিযোগ রয়েছে এ অংশে। ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড এবং পৌর এলাকায় অংশে খোঁড়া-খুঁড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অপরিকল্পিতভাবে খোঁড়া-খঁড়ির কারণে পৌর এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের প্রায় সব গুলো ড্রেনের মুখ। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই দেখা দিচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা এবং রোধে ধূলার সাগরে ডুবে থাকে পুরো এলাকা। হাঁটু পানি ভেঙ্গে সড়ক পাড়াপাড় হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যানবাহনের চাকার মাধ্যমে পথচারীদের গায়ে লাগছে ময়লা পানি। অন্যদিকে রোদে কাঁদামাটি শুকিয়ে গাড়ির চাকায় ধূলার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সড়কে ধূলা রোধে নিয়মিত পানি দেওয়ার কথা থাকলেও কাজ বন্ধ থাকায় তা আর হচ্ছে না। এ ভোগান্তির শেষ কবে হবে তার প্রহর গুণছে পথচারীসহ এলাকাবাসি। সবচেয়ে বেশি কাঁদা ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় গেইটের সামনে। বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসা সাধারণ মানুষকে জুতা হাতে নিয়ে উপজেলার ভিতরে যেতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল বলেন, অপকল্পিতভাবে খোঁড়া-খুঁড়ির ফলে এ অংশে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা এবং ধূলায় জনজীবন অতিষ্ট। এ স্থান দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচলেরও অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। সড়ক দিয়ে হেঁটে নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়া যায় না। গাড়ির চাকার ময়লা পানি লেগে কাপর নষ্ট হয়ে যায়। ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান খান বলেন, জনদূর্ভোগ লাঘবের জন্য আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছি তারা যেন কমপক্ষে অন্ত্যত দু’বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করেন। ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, এ সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। মাত্র তো একটা বৃষ্টি হল, সামনে আর কি যে অপেক্ষা করছে! আমি এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেয়র এবং টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবো। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের এ অংশের প্রকৌশলী মাসুদ বলেন, যখনি ধূলা হবে তখনি পানি দিতে হবে। কিন্তু কিছুদিন ধরে আমাদের পানির গাড়ির সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিয়ত কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছি। আশা করছি খুব দ্রুতই কাজ শেষ হবে। মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App