অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ঢাকা -১০ আসনের উপনির্বাচনে সর্বনিম্ম ভোট কাস্টিং এর রেকর্ড গড়েছে, এ নির্বাচনে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট পড়ে দেশের ভোটের ইতিহাসে সর্বনিম্ম রেকড় তৈরি করলো । এর আগে চট্টগ্রাম-৮ আসনে ২২ শতাংশ ভোট পড়ে। আবার গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং দক্ষিণে ভোট পড়ে ২৯ শতাংশ।

শনিবার (২১মার্চ) নির্বাচন হওয়অ ঢাকা -১০ আসনে মোট ভোটার ছিলেন, ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। যার মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম পেয়েছেন ১৫ হাজার ৯৫৫ ভোট, আর বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলঅম পেয়েছেন মাত্র ৮১৭ ভোট। আর প্রগতীশীল গণতান্ত্রিক দলের প্রার্থী কাজী মুহম্মদ আবদুর রহিম পেয়েছেন মাত্র ৫ ভোট, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের প্রার্থী নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী পেয়েছেন ৬৩ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান পেয়েছেন ১৫ ভোট আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহম্মদ শাহজাহান পেয়েছেন ৯৭ ভোট। মোট ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ ভোটের মধ্যে ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র ১৬ হাজার ৯৬৫ টি, শতাংশ ৫.২৮ মাত্র। যা ভোটের ইতিহাসে বিরল দৃষ্ঠান্ত সৃষ্টি হলো।

এদিকে শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটার পর্যন্ত ৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে, আর গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর আড়াই পর্যন্ত ভোটের তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই, সে জন্য ১শতাংশ ভোট পড়লেও নির্বাচন বৈধ হবে।

তবে ঢাকা- ১০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহতাব উদ্দিন জানিয়েছিলেন এ আসনে ৮-৯ শতাংশ ভোট কাস্ট হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ভোট পড়ার হিসেবে ঢাকা-১০ আসন সব রেকড ভঙ্গ করে সর্বনিম্ম ভোট পড়ার রেকড গড়লো যা ৫২.৮ শতাংশ বলে জানা গেছে।

যদিও ইসি সচিব মো আলমগীর বলেছেন, আমাদের আইনে বলা নেই কত শতাংশ ভোট না পড়লে নির্বাচন বৈধ হবে বা বৈধ হবে না, তাই ১ টি ভোট পড়লেও সে নির্বাচন বৈধ ও অংশগ্রহনমূলক হবে। তিনি বলেন, অনেক দেশে কত শতাংশ ভোট সর্বনিম্ম পড়তে হবে সে বিষয়ে আইন থাকলেও আমাদের দেশে এরকম কোন আইন নেই, তাই ভোট কত শতাংশ পড়লো তা নিয়ে ইসির কোন মাথাব্যাথা নেই।