আতঙ্কের মধ্যেই শুরু উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২০, ০৯:০৯ এএম
করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকাতে প্রিজাইডিং অফিসারদের তৎপরতা। ছবি: ভোরের কাগজ।
উপনির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ভোটার। ছবি: ভোরের কাগজ।
ফাঁকা নির্বাচনী কেন্দ্র। ছবি ভোরের কাগজ।
ভোটারের অপেক্ষায়। ছবি: ভোরের কাগজ।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক নিয়েই ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যেই শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই ভোট গ্রহণ।
ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবং গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচন হবে ব্যালেটের মাধ্যমে। এই তিনটি আসনে ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৯ জন।
বেশকিছু কেন্দ্র ঘুরে এখনো পর্যন্ত কোনো ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। প্রিজাইডিং অফিসাররা বলেন, করোনা আতঙ্কে হয়তো এখনো ঘর থেকে কেউ বের হননি। তবে ১০ অথবা ১১টার পর থেকে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে তারা আশা করছেন।
[caption id="attachment_210303" align="aligncenter" width="701"] উপনির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ভোটার। ছবি: ভোরের কাগজ।[/caption]যেহেতু হাতের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে তাই ভোটারদের জন্য কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেয় হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তারা বলেন, ভোটারদের জন্য হাত পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা-১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগ থেকে মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিজানুর রহমান।
[caption id="attachment_210304" align="aligncenter" width="687"] ফাঁকা নির্বাচনী কেন্দ্র। ছবি ভোরের কাগজ।[/caption]গাইবান্ধা-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির মইনুল রাব্বী চৌধুরী এবং জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি।
বাগেরহাট-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগে মো. আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টি থেকে সাজন কুমার মিস্ত্রী।
[caption id="attachment_210306" align="aligncenter" width="687"] ভোটারের অপেক্ষায়। ছবি: ভোরের কাগজ।[/caption]সারা বিশ্বে চলছে প্রণঘাতী করোনা ভাইরাসের থাবা। তাই বাংলাদেশেও পড়েছে এই ভাইরাসের প্রভাব। ফলে আতঙ্কে সময় পাড় করছেন সব মহলের মানুষ।এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বারবার জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধের আরোপের কথা বললেও এই তিন আসনের নির্বাচন থেকে পিছপা হয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (২০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কারণে,করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ইভিএম মেশিনে ভোট দেন তাহলে তার মাধ্যমে অন্যান্যরাও সংক্রমিত হতে পারেন।