করোনাভাইরাস আক্রান্তের আশঙ্কায় হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে বাহিরে ঘোরাফেরার দায়ে মাদারীপুরে এক স্পেন ফেরত প্রবাসীকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড এবং এক ইতালি ফেরত প্রবাসীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (১৮ মার্চ) কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এছাড়া মাদারীপুরে বুধবার বিকেলে পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় ৪৪ জনকে। এনিয়ে জেলায় মোট ২২০ জন হোম কোয়রেন্টাইনে ও ৪ জন আইসোলেশনে রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে প্রায় চার শতাধিক মানুষ মাদারীপুরে আসে। এদের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় ২২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এছাড়াও ৪ জনকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে। বুধবার দুপুরে হোম কোয়ারেন্টাইন বিধি মেনে না চলার কারনে মাদারীপুরের কালকিনি পাঙ্গাশিয়া গ্রামের এক স্পেন ফেরত যুবককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড এবং কালকিনির চরবিভাগদী গ্রামে এক ইতালি ফেরত যুবককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এক ইতালি প্রবাসী সম্প্রতি মাদারীপুরের শিবচরে আসেন। করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে তার স্ত্রী সন্তানসহ ৪ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তার সন্তানরা যাদের সাথে সংস্পর্শে এসেছে এমন ১৯ শিক্ষার্থীকে চিহ্নত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুরে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় ৪৪ জনকে। এ নিয়ে মাদারীপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২২০ জন। এর বেশির ভাগই প্রবাসী। এছাড়াও সদর হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে ১ জন ও আইনসোলেশনে ৪ জনকে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় প্রতিটি ইউনিয়নের বিদেশ ফেতরদের তথ্য সংগ্রহ করে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। এরপরে যদি কেউ আদেশ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত জেল-জরিমাণা করা হবে। কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।