রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ইতিহাসে দেখা যায় অতীতের অনেকই দেশ গড়ার কাজে না লেগে বরং অবৈধ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছেন। রেলওয়ে এক সময় সাবলম্বী ছিল। নিজস্ব বাহিনী, হাসপাতাল, বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রসহ আরো অনেক কিছু ছিল। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থ ও ভূল নীতির কারণে রেলকে ধ্বংসের দার প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলকে গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে রেল আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে। আগামীতে রেল তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে মন্ত্রী জানান। বুধবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে রেলওয়ের জায়গার উপর ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট বহুমুখী বিষেশায়িত হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ লি: এর সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এই চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অতিরিক্ত চীফ ইঞ্জিনিয়ার/ব্রিজ ও প্রকল্প পরিচালক আহসান জাবির এবং ইউনাইটেড গ্রপের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মইনুদ্দিন হাসান রশিদ। নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশকে এগিয়ে নেয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। যারা বিদেশে আছেন দেশকে গড়ে তোলার জন্য তারাও উদ্যোগ নিতে পারেন। সম্মিলিত উদ্যোগেই আমরা দেশকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাব। চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ১০০ আসন বিশিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। মোট ছয় একর জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠিত হবে। এখান থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২০ শতাংশ কম মূল্যে সেবা দেয়া হবে। ৫০ বছর পরে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের কাছে হাসপাতালটি হস্তান্তর করবে। এই হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ৩৯৮ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী আল কামাল সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: শামছুজ্জামান, ইউনাইটেড গ্রুপের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।