×

সারাদেশ

অনার কিলিং না অন্যকিছু?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২০, ০৯:০৬ পিএম

অনার কিলিং না অন্যকিছু?

আফিয়া। ছবি: প্রতিনিধি

অনার কিলিং না অন্যকিছু?

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় দশম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের দুই ভাই ও দুই বোনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে পুলিশ। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পলাশ উপজেলার গজারিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে। নিহতের নাম আফিয়া (১৬)। সে মধ্যপাড়ার আজাহার মিয়ার ছোট মেয়ে ও গজারিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে গজারিয়া মধ্যপাড়া থেকে আফিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, মরদেহের মাথায় আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। এলাকাবাসী এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলছে। কেউ বলছেন, পরিবারের সম্মান রক্ষায় আফিয়াকে হত্যা করে থাকতে পারে তার পরিবারেরই সদস্যরা।

রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসী জানান, কয়েক মাস আগে রাসেল নামে বহিরাগত এক যুবকের সঙ্গে আফিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য ওই যুবক আফিয়ার বাড়িতে প্রস্তাব দেয়। এরপর খোঁজ নিয়ে আফিয়ার পরিবার জানতে পারে রাসেল আগেই অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। বিবাহিত রাসেলের সঙ্গে তাই আফিয়ার প্রেমের সম্পর্ক মানতে পারছিল না তার পরিবারের লোকজন।

পরিবারের আদরের মেয়ে আফিয়াকে প্রেমের পথ থেকে ফিরাতে রাসেলের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করতে বলা হয়। এক পর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বড় ভাই আলম নিজের হেফাজতে নেয়। গত এক মাস ধরে রাসেল আফিয়াকে ফোন দিলে তা আলম ধরতো।

এ ঘটনায় আফিয়া আর তার পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো। ঘটনার দিন রাতে (১৭ মার্চ) আফিয়ার সঙ্গে তার দুই বোন ঘুমাতে যায়। পাশের আরেকটি কক্ষে তার দুই ভাই ও দুই দুলা ভাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। পরদিন নিজ বাড়ি থেকে আফিয়ার লাশ উদ্ধার হয়।

প্রতিবেশীরা জানায়, গভীর রাতে আফিয়াদের বাড়ি থেকে ডাক চিৎকার শুনে আশাপাশের লোকজন সেখানে গেলে আফিয়ার বাড়ির লোকজন কিছুই হয়নি বলে জানান। ভোরের দিকে তাদের বাড়ি থেকে কান্নাকাটির শব্দ পাওয়া যায়। তবে আফিয়ার বাবা আজাহার মিয়া দাবি করেছেন, ঘরের সিঁধ কেটে কে বা কারা ঘুমন্ত অবস্থায় আফিয়াকে তুলে নিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে গেছে।

ওসি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, আফিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সব রকম চেষ্টা করছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App