×

জাতীয়

করোনায় উপনির্বাচন স্থগিত করতে চায় না ইসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২০, ০৬:০১ পিএম

করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক উপেক্ষা করে ঢাকা-১০ আসনসহ আগামী ২১ মার্চ অনুষ্ঠেয় তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন। আর তারই নমুনা স্বরুপ বুধবার (১৮ মার্চ) ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএম সেটসহ অন্য দুই আসনে নির্বাচন সংক্রান্ত মালামাল পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ইসি। বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে সরজমিন কমিশনে গিয়ে দেখা যায়, একটি কুরিয়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি কন্টেইনারে করে ইভিএম সেটসহ ভোট সংক্রান্ত বিবিধ মালামাল পাঠান হচ্ছে ঢাকা-১০সহ অন্য দু আসনের নিদ্দিষ্ঠ কেন্দ্রে কেন্দ্রে। এনিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ ব্যস্ততা দেখা গেছে। তালিকা ধরে মালামাল তুলে দেয়া হচ্ছে কন্টেনারে। নির্বাচনের বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি কিন্তু এখনো নির্বাচন বন্ধ করার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ এবং গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। তবে এসব মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কগ্রস্থ। তবে কমিশন এখনও পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করতে চাইছে না। ২১ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। তিনি বলেন, বাঙালি ‘ন্যাশন অব টলারেন্স’, এর চেয়ে বড় বড় দুর্যোগ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ মডেল। আইইডিসিআর এর নির্দেশনামত সব ধরনের জনসমাগম না করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে সিইসি বলেন, আমরা এখনই বিষয়টি টেক আপ করবো। মেসেজটা যেন পৌঁছে দিতে পারি, সেজন্য ব্যবস্থা নেবো। সামনে চট্টগ্রাম সিটি ও কয়েকটি নির্বাচন আছে। প্রার্থীরা যেন সীমিত আকারে অন্য ডিভাইসে প্রচার করে এবং যেন জনসভা ও পথসভা পরিহার করে, সেই অনুরোধ করবো। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব যদি বাড়ে তাহলে আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বগুড়া-১ এবং যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ইসি পরে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠকে বাহিনীর পক্ষ থেকে ইভিএমে ভেঅট গ্রহণে ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন আশঙ্খা করা হয়েছিল। যদিও তাদের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিটি ভোটারের হাতের আঙ্গুল প্রতিষেধক ও টিসু দিয়ে মুছে পরিষ্কার করার কথা বলেছেন সিইসি। আর ভোট কর্মীদের মাক্স ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সিইসি প্রত্যেক প্রার্থীকে সচেতনভাবে জনসমাবেশ এড়িয়ে ভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীরা ভোট হোক এমনটি চাইছেন। তারা সিইসিকে নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আবার আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম নির্বাচনের বিষয়ে বলেছেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমরা সিদ্ধান্ত দেব। এখন আমরা সিচুয়েশনকে অ্যাড্রেস (করোনা পরিস্থিতি বোঝা বা চিহ্নিত করা) করতেছি। যদি ওরকম প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব বিভিন্ন দিক আলোচনা করে। যদি বর্তমান অবস্থা থাকে, এখনও যেহেতু চলতেছে, তাহলে এটা কন্টিনিউ করব। সিচুয়েশনের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা। তিনি জানান, ২১ ও ২৯ মার্চ ভোট হবে কি-না, বিষয়টি নিয়ে এখনও বৈঠকে বসেনি নির্বাচন কমিশন। যদিও ভোটের মাঝখানে বাকি আছে আর মাত্র দুইদিন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, করোনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে এটা ঠিক। তবে সবাই সতর্কতার কথাই বেশি বলেছেন। বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা সবাই এটা নিতে সতর্ক আছি এবং থাকবো। ভোটের সময় টিস্যু ও হ্যান্ড ওয়াশ সরবরাহ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দরকার হলে মাস্ক ব্যবহার করবে। আমরা কেউই চাই না অনাকাঙ্খিত কিছু হোক। তবে ভোট না হবার মত পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App