×

জাতীয়

শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীতে মুজিববর্ষের উদ্বোধন

Icon

nakib

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ১০:০৩ এএম

নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়িয়ে ১৭ মার্চ রাত ৮টায় শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানসূচি। এরপর থাকবে ১০০ দেশীয় শিল্পীর যন্ত্রসংগীতে পরিবেশিত হবে মুজিববর্ষের থিম সং। থাকবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘চিত্রপটের দৃশ্যকাব্যে বঙ্গবন্ধু’ নামে থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি প্রদর্শন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোনো জনসমাগম থাকবে না। তবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন সে জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি দেশের সব ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় একযোগে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পরিবর্তিত আকারে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।

কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে মুজিববর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান ঠিক হয়েছিল, সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বিশ্বের প্রায় একশ দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ওই আয়োজনে লাগাম টানা হয়েছে। মূল ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করে এখন ১৭ মার্চ জনসমাগম এড়িয়ে এই কর্মসূচি সাজানো হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রচার রাতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ সেটি হচ্ছে রাত ৮টায়। রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধুর যে জন্মক্ষণ সেই জন্মক্ষণে আতশবাজি ও আনন্দ আয়োজনমূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করব। সে আলোকে অনুষ্ঠান শুরুর সময় ঠিক করব। তবে অনুষ্ঠান হবে রাতে। সময়টাকে এখন ডিজাইন করব।

তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে একটা নির্দিষ্ট সময়ে, একটা বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আমরা আয়োজন করব। সেটি সব টেলিভিশনের মাধ্যমে ও আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে সম্প্রচারিত হবে এবং একইসঙ্গে সারা পৃথিবীতে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য দেড় থেকে দুই ঘণ্টার টেলিভিশন অনুষ্ঠান হবে জানিয়ে কামাল চৌধুরী বলেন, জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটাকে যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেটাকে মোটামুটি একটা অবস্থায় রেখে চিন্তা করেছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের দেড় থেকে দুই ঘণ্টার একটা টিভি প্রোগ্রাম তৈরি করা হবে। সেটা পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশে এবং সারা পৃথিবীতে সম্প্রচার হবে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্যে আমাদের জাতীয় সংগীত আছে। আমাদের রাষ্ট্রপতি বাণী দেবেন। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন, তারপরে তার কবিতা পাঠ আছে।

বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ এক বছর ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বছরজুড়ে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেকর্ডেও হতে পারে, আবার কিছু অংশ লাইভও হতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের টেকনিক্যাল টিম আছে, অ্যাটকো ও বাংলাদেশ টেলিভিশন আছে, তারা কাজ করছে। সাংস্কৃতিক উপকমিটিসহ যারা আছে সংশ্লিষ্ট আছেন, তারা কাজ করছেন।

তিনি জানান, জাতীয় শিশু দিবসে এই আয়োজনে শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও শিশুদের কণ্ঠে অন্য সংগীত পরিবেশনা থাকবে। ১০০ দেশীয় শিল্পীর যন্ত্রসংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি মুজিববর্ষের জন্য থিম সং বা উৎসব সংগীত পরিবেশিত হবে অনুষ্ঠানে।

উদ্বোধনী আয়োজনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, অবদান ও ত্যাগের মহিমা নিয়ে ‘চিত্রপটের দৃশ্যকাব্যে বঙ্গবন্ধু’ নামে থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফির আয়োজন থাকবে। সেটা শিল্পকলা একাডেমি পরিবেশন করবে। এই আয়োজনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ব্রিটিশ কোরিওগ্রাফার আকরাম খানের একটা দল পারফর্ম করার কথা। তাদের রিহার্সেল চলছে এখন। আকরাম খানের যে পারফরম্যান্স সেটাও কিন্তু এখানে পরিবেশন করা হবে।

সবার জন্য উপভোগ্য আয়োজনের পরিকল্পনা জাতীয় কমিটি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব কিছু মিলিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যাতে সবাই মিলে উপভোগ করতে পারেন, তাদের গৃহে কিংবা যেখানে থাকুন না কেন, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এবং টেলিভিশন ও অন্যান্য মাধ্যমে যাতে উপভোগ করতে পারেন।

সব ইলেকট্রনিক মিডিয়া আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ে এটা সবাই প্রচার করবেন। এর বাইরে সোশ্যাল মিডিয়া তো আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App