×

সারাদেশ

পলাশে অবৈধ করাত কলের হিড়িক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ১১:১১ পিএম

পলাশে অবৈধ করাত কলের হিড়িক
সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়াই নরসিংদীর পলাশে অবৈধভাবে চলছে অর্ধশতাধিক স’ মিল (করাত কল)। ওইসব স’ মিলের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার গাছ চিরাই করা হচ্ছে। লাইন্সেস না থাকায় করাতকল মালিকরা গাছ কেনাবেচার ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ মানছে না। অবাধে কিনছেন গাছ। ফলে একদিকে যেমন বেড়েই চলেছে অবাধে বৃক্ষ নিধন। অন্য দিগে প্রতিনিয়ত হুমকির সস্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। আবার কোন কোন এলাকায় কিছু অসাধু করাতকল মালিকরা সরকারের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি গড়ে তুলেছেন স’ মিল। যার ফলে প্রতিনিয়িত শব্দ ও পরিবেশ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে একাধিক স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব স’ মিল চললেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে সরকারের আইন-কানুন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, কি ভাবে চলছে ,এই সব স’মিল তা নিযে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরসিন্দুর, বালিয়া, তালতলী, ঝালকাটা, পারুলিয়া, কালিরহাট, চরণগরদী,ভাটপাড়া,কাজৈর,ডাঙ্গা, ঘোড়াশাল,প্রাণগেইট,অবধা পলাশ, পন্ডিপাড়া বাজারেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক স’মিল (করাতকল)। এর মধ্যে মাত্র ৭/৮ টি স’মিলের লাইসেন্স রয়েছে। যাদের লাইসেন্স রয়েছে তাদের আবার অনেকের নবায়ণ করা নেই। স’মিল মালিকরা জানান,একটি মিলের লাইসেন্স করতে যে অর্থের প্রয়োজন হয়,বাস্তবে সেই অর্থের ৩/৪ গুণ টাকা নেওয়া হয়। যে কারণে মিল মালিকেরা লাইসেন্স করতে চান না। কর্তারা জনবল সংকট দেখিয়ে মিল তদারকি যুগের পর যুগ বন্ধ করে রেখেছেন। তারা আরো বলেন, অজ্ঞাত কারণে করাতকল মালিকরা লাইসেন্স করছেন না। তিনি কার্যকরি মোবাইল কোর্টের দাবী জানান। তিনি মনে করেন অবৈধ এক-দুইটা স’মিল মালিকদের বড় ধরনের জরিমানা বা স’মিল সিলগালা করা হলে তারা অবশ্যই লাইসেন্স করতে বাধ্য হতেন। সাথে সরকার হাজার-হাজার টাকা রাজস্ব পেতেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App