×

খেলা

টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ০৯:৪৫ পিএম

টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ জয় হয়েছে অনেকবার। কিন্তু এই সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় হয়েছে মাত্র ১ বার। তাও ২০০৬ সালে। দুই দল প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২০০৬ সালে। সেবার একমাত্র ম্যাচটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আরো ৩ বার দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হলেও প্রতিবারই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ভাগাভাগি করে নিতে হয়েছে।

তবে গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে ১৪ বছর পর প্রথমবারের মতো আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। আর এবারই প্রথমবারের মতো ২ ম্যাচের সিরিজ জয় এটি। গতকালের ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ফলে টাইগাররা পায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানের জয়।

ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে জিম্বাবুয়েকে ব্যাট করতে পাঠান টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার খেলে মাত্র ১১৯ রান তুলতে সমর্থ হয় পুরো সিরিজে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে। এই রান তুলতে তারা তাদের ৭টি উইকেটও হারায়। জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্যাটিংয়ে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্যুতি ছড়াতে সক্ষম হন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর।

তিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান তোলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করতে সমর্থ হন ক্রেইগ এরভিন। এরপর যারাই ব্যাটিংয়ে এসেছেন তারা প্রত্যেকেই ছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে। শুধু মাঝে ১২ রান করে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেন সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচটিতে ২টি করে উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন।

জবাবে বাংলাদেশ মাত্র ১৫ ওভার ৫ খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন পুরো সিরিজে দুর্দান্ত খেলা ওপেনার লিটন দাশ। এর পুরস্কার স্বরূপ গতকাল সিরিজ ও ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন তামিমের জায়গায় ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ নাঈম। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের হয়ে সান্ত¡নাসূচক একমাত্র উইকেটটি তুলে নেন পেসার ক্রিস্টোফার এমপুফু।

এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায়, ২০১৫ সালে ২ ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় ও ২০১৬ সালে ৪ ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করেছিল। কিন্তু এবার সিরিজের কাপটি নিজেদের একা করে নিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারার মাধ্যমে বাংলাদেশ সফরে এসে একেবারেই খালি হাতে দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে জিম্বাুবুয়েকে। একমাত্র টেস্টে হারার পর এবং ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ পর গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ২-০ ব্যবধানে হারতে হতে হয় তাদের। এই সিরিজগুলোর আগে ২০১৮ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবার দুই ম্যাচ সিরিজের একটি টেস্ট ম্যাচ জিততে পারলেও এবার আর কোনো জয় তুলে নিতে পারেনি তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App