×

সারাদেশ

করোনা: চট্টগ্রাম বন্দরে সনাতনী পদ্ধতিই ভরসা

Icon

nakib

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ০৯:৫১ এএম

করোনা: চট্টগ্রাম বন্দরে সনাতনী পদ্ধতিই ভরসা

চট্টগ্রাম বন্দর : ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব আছে কীনা তা পরিমাপের জন্য কোনো ‘থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানার’ নেই এ সংবাদ পরিবেশনের পর গতকাল মঙ্গলবার একটি স্ক্যানার বসানো হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে বিদেশ থেকে আসা নাবিকদের পরীক্ষা করার জন্য এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো মেশিন বসানো হয়নি। তবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মোতাহার উদ্দীন ভোরের কাগজকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরেও কয়েকদিনের মধ্যে একটি আধুনিক ‘থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানার’ পাঠনো হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সরওয়ার ই জামান মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ‘এর ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীরা এ স্ক্যানারের ক্যামেরার সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেই জ্বর আছে কিনা শনাক্ত করা যাবে সহজেই।’ তবে এতদিন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস নির্ণয়ের জন্য ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হয়েছিল যাত্রীদের।

চট্টগ্রামের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরে যেখানে সমুদ্রবন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে সেখানে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলে কি করা হবে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগীয় একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাসেবা সংস্থার পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৫০টি করে শয্যা প্রস্তুত রাথা হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত থাকবে। তাছাড়া কী ধরনের চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন সে ব্যাপারেও আলোচনা হয় সে সভায়।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশি-বিদেশি ফ্লাইটে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ হাজার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী চলাচল করে থাকে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক যাত্রী প্রায় দেড় হাজারের মতো। যদিও শাহ আমানতে চীন থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট আসে না। তবে চীনের অনেক যাত্রী দুবাই, আবুধাবি, দোহা, মাসকাট ও ভারত হয়ে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামকে ঘিরে নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পে প্রচুর চীনা নাগরিক কর্মরত থাকায় তারা ওইসব দেশ ট্রানজিট বা ফ্লাইট পরিবর্তন করে যাতায়াত করেন। তবে শুধু চীন দেশের নাগরিক নয় বিদেশ থেকে যেসব যাত্রী আসছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে তাদের গত সবাইকেই চেক করা হচ্ছে বলে জানান বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা। গত সোমবার (৯ মার্চ) পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬৩১ জন আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৪৩৫ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে সবই করা হয়েছে ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারওয়ার-ই-জামান বলেন, নতুন থার্মাল ইমেজ ডিটেকশন স্ক্যানারে আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জ্বর আছে কিনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি চালু হওয়াতে হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে স্ক্যানারে যাত্রীদের যে সময় লাগতো তা সাশ্রয় হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App