×

জাতীয়

সরকার করোনার তথ্য গোপন করছে না

Icon

nakib

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২০, ০৮:১২ পিএম

সরকার করোনার তথ্য গোপন করছে না

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ

করোনার প্রবেশ ঠেকাতে দেশের নৌ ও স্থল বন্দরগুলোতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এ নিয়ে সরকার কোনো তথ্য গোপন করছে না। তাই জনগনকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে। রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার মুন্সিখোলাঘাটে ৬টি ভারী জেটি নির্মাণ ও ওয়াকওয়েসহ কয়েকটি কাজের ভিত্তি স্থাপন শেষে মঙ্গলবার (১০মার্চ )বিকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জেটিগুলো নির্মাণ করা হলে নৌপথে পরিকল্পিতভাবে পণ্য উঠনামা করা যাবে। নদী তীরের ওয়াকওয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা এবং দখল ও দূষণ বন্ধ হবে। দলখ ও দূষণবিরোধী কার্যক্রম চালাতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি এ ক্ষেত্রে ঢাকাবাসি আমাদের সঙ্গে থাকবেন। যত বাধাই আসুক, আমরা এগিয়ে যাব। স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, প্রকল্প পরিচালক নুরুল আলম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে ১০ হাজারের বেশি সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। অতীতে কোন সরকার নদীর তীর রক্ষার কাজে দৃষ্টি দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে নদী রক্ষায় পদক্ষেপ নেন। সে সব কর্মসূচি চলমান থাকলে নদী রক্ষায় আজ এত বেগ পেতে হত না। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় এসে প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে। তারা উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার কোন পরিকল্পনা তাদের ছিলনা।

উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৯টি ভারী জেটি নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ভিত্তি স্থাপন করা ৬টি জেটির মধ্যে মুন্সিখোলায় একটি, পাগলা বাজার এলাকায় ২টি, মিরপুরের সিন্নিরটেক, গাবতলী ও রামচন্দ্রপুর এলাকায় একটি করে জেটি নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি জেটির আয়তন হবে ৪ হাজার বর্গফুট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App