×

জাতীয়

আতঙ্কে কাঁপছে সারাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২০, ১০:০১ এএম

আতঙ্কে কাঁপছে সারাদেশ

সংক্রমণ ঝঁকিতে বাংলাদেশ/ ছবি: ভোরের কাগজ।

করোনায় কাঁপছে দেশ। এই ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ৩ ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই জনমনে আতঙ্ক যেন আরো বেড়েছে। জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সেই আতঙ্কের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সামান্য সর্দি, কাশিতেই আতঙ্কিত হয়ে মানুষ ফোন করছে রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে অন্তত পাঁচদিন লাগে। এদিকে এই ভাইরাস ঠেকাতে সরকারি উদ্যোগের প্রসংশা করলেও এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতির রয়েছে বলেও মনে করছে হাইকোর্ট। গত ৫ মার্চ করোনা প্রতিরোধে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে মাস্ক ও সেনিটাইজার নিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট, কালোবাজারি করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথাও বলেন উচ্চ আদালত। প্রতিবেদন দেখে বিচারক কে এম কামরুল কাদের বলেন, সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয় কিন্তু যথেষ্ট নয়। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রস্তুতিতে ব্যাপক ঘাটতি আছে। এই ভাইরাস আরো ব্যাপক আকার ধারণ করার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে। এ নিয়ে অবহেলা, ঘাটতি থাকার কোনো সুযোগ নাই। এক-দেড়মাস হয়ে গেছে এখনো স্ক্যানার কেনার প্রক্রিয়ায় আছেন। কেনার জন্য বাজারে মাস্ক, সেনিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে। যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে মোকাবিলার প্রস্তুতি তো থাকতে হবে। কারণ এর কোনো প্রতিষেধক নেই। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ের কমিটির সভা শেষে গতকাল বিকালে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে হঠাৎ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণের বেশি মূল্যে মাস্ক বিক্রি করা হচ্ছে। এটি অনৈতিক কাজ। দেশের সংকটকালে মাস্কের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। এক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মনিটরিং করাসহ অপরাধ প্রমাণীত হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের ড্রাগ লাইসেন্স বাতিল করা হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্ততর গতকাল গুলশানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করায় আল নূর ফার্মেসি ও সাফাবি ফার্মেসিকে সিলগালা করেছে। জানা গেছে, রাজধানীর আরো কয়েকটি জায়গায় মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। যারাই অনৈতিক উপায়ে পণ্যের দাম বেশি নেবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, জাতির এ ক্রান্তিকালে অনৈতিকভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মাস্কের দাম বেশি নেয়া আইনত দণ্ডনীয়। এ অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। শুধু যারা সংক্রমিত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শে গেলেই অন্যদের সংক্রমণের ভয় আছে। সংক্রমণের শিকার রোগীকেই শুধু মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের দরকার নেই। অযথাই মানুষ মাস্ক কিনতে ছুটছেন। এ কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। সেনিটাইজার না থাকলে সাবান দিয়ে হাত ধুলেও চলবে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে প্রবাসীরা এসেই দেশে করোনা ছড়িয়েছেন। তাই আহ্বান জানাব, এ ভাইরাস যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেখান থেকে যেন প্রবাসীরা দেশে না আসেন। পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রবাসীদের আসা বন্ধে পর্যাপ্ত প্রচারণা ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া বিদেশ থেকে যারা আসবেন তাদের সবাইকে প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টাইন করা হবে। করোনা প্রতিরোধে কোরিয়া, ইরান, ইতালি ও চীনের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিকভাবে সব প্রতিষ্ঠানই চলবে। তবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করার ব্যাখ্যায় তিনি আরো বলেন, স্কুল-কলেজে একই মানুষ প্রতিদিন আসেন। তবে সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সমাগম হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে যেতে বলা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমাদের আশঙ্কা ছিল ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। রবিবার তিনজন শনাক্ত হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় ঢাকায় চারশ বেড এবং জেলা পর্যায়ে একশ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, মেশিন ও ওষুধ মজুত আছে। আরো ওষুধ ও কিট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের ১০০ মিলিয়নের তহবিল দিয়েছে। তবে আরো তহবিল দরকার। সমাজের বিত্তবান এবং বিভিন্ন কোম্পানিকেও সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। তারা এই মুহূর্তে মাস্ক ও গাউন দিলে উপকার হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা গতকাল দুপুরে প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর প্রচারের পর মানুষের মনে আতঙ্ক বেড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে আইইডিসিআর হটলাইনে ফোনকলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৭৮টি কল এসেছে। অধিকাংশই আতঙ্কিত হয়ে ফোন করেছেন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা ও আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। পরিচালক বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে যাবে না। তবে এটা মনে রাখতে হবে, বিদেশ থেকে এলেই কিন্তু তারা করোনা আক্রান্ত নন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্ক আছে। এই আশঙ্কা থেকেই আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করেছি। করোনা আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসায় ৪০ জনকে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

মাস্ক ও সেনিটাইজার নিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট, কালোবাজারি করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথাও বলেন উচ্চ আদালত। প্রতিবেদন দেখে বিচারক কে এম কামরুল কাদের বলেন, সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয় কিন্তু যথেষ্ট নয়। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রস্তুতিতে ব্যাপক ঘাটতি আছে। এই ভাইরাস আরো ব্যাপক আকার ধারণ করার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে। এ নিয়ে অবহেলা, ঘাটতি থাকার কোনো সুযোগ নাই। এক-দেড়মাস হয়ে গেছে এখনো স্ক্যানার কেনার প্রক্রিয়ায় আছেন। কেনার জন্য বাজারে মাস্ক, সেনিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে। যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে মোকাবিলার প্রস্তুতি তো থাকতে হবে। কারণ এর কোনো প্রতিষেধক নেই। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ের কমিটির সভা শেষে গতকাল বিকালে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে হঠাৎ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণের বেশি মূল্যে মাস্ক বিক্রি করা হচ্ছে। এটি অনৈতিক কাজ। দেশের সংকটকালে মাস্কের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। এক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মনিটরিং করাসহ অপরাধ প্রমাণীত হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের ড্রাগ লাইসেন্স বাতিল করা হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্ততর গতকাল গুলশানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করায় আল নূর ফার্মেসি ও সাফাবি ফার্মেসিকে সিলগালা করেছে। জানা গেছে, রাজধানীর আরো কয়েকটি জায়গায় মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। যারাই অনৈতিক উপায়ে পণ্যের দাম বেশি নেবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, জাতির এ ক্রান্তিকালে অনৈতিকভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মাস্কের দাম বেশি নেয়া আইনত দণ্ডনীয়। এ অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। শুধু যারা সংক্রমিত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শে গেলেই অন্যদের সংক্রমণের ভয় আছে। সংক্রমণের শিকার রোগীকেই শুধু মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের দরকার নেই। অযথাই মানুষ মাস্ক কিনতে ছুটছেন। এ কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। সেনিটাইজার না থাকলে সাবান দিয়ে হাত ধুলেও চলবে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে প্রবাসীরা এসেই দেশে করোনা ছড়িয়েছেন। তাই আহ্বান জানাব, এ ভাইরাস যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেখান থেকে যেন প্রবাসীরা দেশে না আসেন। পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রবাসীদের আসা বন্ধে পর্যাপ্ত প্রচারণা ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া বিদেশ থেকে যারা আসবেন তাদের সবাইকে প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টাইন করা হবে। করোনা প্রতিরোধে কোরিয়া, ইরান, ইতালি ও চীনের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিকভাবে সব প্রতিষ্ঠানই চলবে। তবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করার ব্যাখ্যায় তিনি আরো বলেন, স্কুল-কলেজে একই মানুষ প্রতিদিন আসেন। তবে সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সমাগম হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে যেতে বলা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমাদের আশঙ্কা ছিল ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। রবিবার তিনজন শনাক্ত হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় ঢাকায় চারশ বেড এবং জেলা পর্যায়ে একশ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, মেশিন ও ওষুধ মজুত আছে। আরো ওষুধ ও কিট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের ১০০ মিলিয়নের তহবিল দিয়েছে। তবে আরো তহবিল দরকার। সমাজের বিত্তবান এবং বিভিন্ন কোম্পানিকেও সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। তারা এই মুহূর্তে মাস্ক ও গাউন দিলে উপকার হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা গতকাল দুপুরে প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর প্রচারের পর মানুষের মনে আতঙ্ক বেড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে আইইডিসিআর হটলাইনে ফোনকলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৭৮টি কল এসেছে। অধিকাংশই আতঙ্কিত হয়ে ফোন করেছেন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা ও আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। পরিচালক বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছেন, তাদের অবশ্যই ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে যাবে না। তবে এটা মনে রাখতে হবে, বিদেশ থেকে এলেই কিন্তু তারা করোনা আক্রান্ত নন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্ক আছে। এই আশঙ্কা থেকেই আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করেছি। করোনা আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসায় ৪০ জনকে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App