×

মুক্তচিন্তা

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভূমিহীনে ভূমি গৃহহীনে গৃহদান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২০, ০৮:২৩ পিএম

সাত মার্চ পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা মুজিববর্ষ উদযাপনে অনেক কর্মসূচির চিন্তা করেছি। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পায়। তিনি সংবিধানে মৌলিক চাহিদার কথা উল্লেখ করে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এজন্য তিনি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজের এলাকায় খোঁজ নেয়ার নির্দেশ দিয়ে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, যাদের ঘর নেই তাদের আমরা ঘর করে দেব। আমরা চাই একটা মানুষও যাতে গৃহহারা না থাকে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, আমার এ কথাটা দেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। আপনারা চেষ্টা করেন ঘর করে দিতে। না পারলে আমরা টাকা দেব ঘর করার জন্য’। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার একটি বড় অংশ আমি উপরে তুলে ধরেছি। পাঠক গভীর মনোযোগ দিয়ে বিষয়টি লক্ষ করলে দেখতে পাবেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনকে নিতান্ত কিছু অনুষ্ঠানমালায় উদযাপন করার প্রথাগত ব্যবস্থার মধ্যে মোটেও সীমাবদ্ধ থাকতে চাচ্ছেন না, তেমন কোনো চিন্তা-ভাবনা তার মধ্যে নেই সেটি তিনি মুখে না বললেও তার বক্তৃতার এই অংশে কতটা স্পষ্ট হয়েছে সেটি নিয়ে কারো কোনো দ্বিধা থাকার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি নানা সংস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ নানা ধরনের আয়োজন, অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় পূর্বপরিকল্পনা মতো ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানাদি থেকে সরকার জনস্বার্থে কিছুটা সীমিত আকারে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান পালনের সূচনা করতে যাচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে, বিদেশি অতিথিদের আগমনও স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে ঘরোয়া বা সীমিত আকারে এই দিনটি পালনের আয়োজন সবাই সবার মতো করে করবে এটিই ধরে নেয়া হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানাদি পুনর্গঠিত আকারে পালিত হবে সেটি আমরা আশা করতে পারি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের জন্য কতখানি অন্তহীন প্রাসঙ্গিক তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তার জন্মের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তার জন্ম না হলে আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা আদৌ সম্ভব হতো কিনা সেই মৌলিক প্রশ্নের কোনো অনুমানভিত্তিক সদুত্তর দেয়া সম্ভব নয়। তবে তার জন্ম হয়েছিল বলেই তার নেতৃত্বে একটি আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে এটি ইতিহাসের চরম সত্য। সে কারণে বঙ্গবন্ধুকে এই রাষ্ট্রের জনক ও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমাদের চিরকাল স্মরণ করতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মতো একটি শতাব্দীর আলোড়ন ও শিক্ষাকে গভীর মনোযোগে না নিয়ে যারা কেবল বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের এক কোণে বন্দি করে রাখতে চান তারা বড়ই দুর্ভাগা, কূপমণ্ডূকও বটে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ককে নতুন প্রজন্মের অন্তর্দৃষ্টি ও চোখের দৃষ্টিতে তুলে ধরা, উপস্থাপন করার মাধ্যমে নেতার প্রকৃত সৌম্য দেহ, অদম্য সাহস, তেজোদীপ্ত পদচারণা, সীমাহীন দেশপ্রেম, জনগণের প্রতি অসীম ভালোবাসা এবং নতুন প্রজন্মের জন্য একটি শোষণহীন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন কীভাবে রেখে গিয়েছিলেন সেটি তুলে ধরাই হতে পারে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের মূল উদ্দেশ্য, অনুষ্ঠানাদি উপলক্ষ মাত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার যে অংশটুকু ওপরে আমি উদ্ধৃত করেছি তার নির্যাসটি লক্ষ করলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অসমাপ্ত কাজের অন্তত মৌলিক দুটো ক্ষেত্র তিনি (শেখ হাসিনা) চিহ্নিত করছেন। সেই ক্ষেত্র দুটোর একটি হচ্ছে ভূমিহীন মানুষকে ভ‚মি এবং অন্যটি হচ্ছে গৃহহীন মানুষকে ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়া। কথা দুটো শেখ হাসিনা এখন আমাদের জানালেও ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই বারবার উচ্চারণ করেছিলেন। রেকর্ডকৃত তাঁর ভাষণের যেসব অংশ এখন আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের কল্যাণে শুনতে পাই তাতে তার মুখ থেকেই ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের প্রতি তার দরদ ও ভালোবাসার কথা উচ্চারিত হতে শুনি। এটি শুধু বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার আবেগী বিষয় ছিল না, এটি ছিল তার একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারও পরিকল্পনা যেখানে প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করা। কোনো আধুনিক রাষ্ট্র মৌলিক এই পাঁচ শর্ত পূরণ ছাড়া নাগরিকের অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারে না, রাষ্ট্রও সব নাগরিকের হয়ে ওঠে না। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তো কতিপয় মানুষের নয়, সব মানুষের জন্যই। বঙ্গবন্ধু সব মানুষের তথা নাগরিকের জন্যই বাংলাদেশ রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। পাকিস্তান থেকে বের হয়ে আসার প্রধান কারণই ছিল আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, পাকিস্তান আদতেই কোনো আধুনিক রাষ্ট্র চরিত্র অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। রাষ্ট্রটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের ভ‚স্বামী সাম্প্রদায়িক, সামরিক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত। এটি জন্মগতভাবে পূর্ব বাংলার জনগণের অস্তিত্ববিরোধী একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু শুরু থেকে শেষাবধি পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই-সংগ্রাম করছিলেন, জেল-জুলুম হাসিমুখে বরণ করছিলেন। কিন্তু ভুলে যাননি কী ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থা রাজনীতির একজন বেড়ে ওঠা নেতা হিসেবে তার আরাধ্য ছিল। সে আরাধ্য কাজটি তিনি ১৯৭১ সালে শুরু করেন। দেশ স্বাধীনের পর রাষ্ট্র পরিকল্পনায় সেসব জরুরি ও প্রয়োজনীয় কাজগুলো তিনি একে একে করতে চেয়েছিলেন। এমন শোষণহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে অনেকেই ছিল, আর ছিল পরাজিত পাকিস্তান এবং সেই দেশটির মিত্র শক্তিসমূহ যারা সব নাগরিকের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরোধী। তাদের সবার গোপন ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের রক্তপাত, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং নিকটাত্মীয়রা বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন আড়াই মাসের মাথায় জেলবন্দি চার জাতীয় নেতা। ঘুরিয়ে দেয়া হলো বাংলাদেশের পথ চলাকে, ফিরিয়ে নেয়া হলো পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভাবাদর্শে, তছনছ করে দেয়া হলো মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক আদর্শে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ও পরিকল্পনাকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র পরিকল্পনার পথে চলেনি দীর্ঘদিন। ফলে দেশে ভ‚মিহীন ও গৃহহীন মানুষের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করার কোনো নীতি কার্যকর ছিল না। বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কোনো সরকার কিছু কিছু গুচ্ছগ্রাম বা নদীভাঙা মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দারিদ্র্য বিমোচন নীতির অপরিহার্য অংশ হিসেবে কোনো সরকার করেনি। ফলে বাংলাদেশে অসংখ্য দরিদ্র মানুষ ভূমিহীন প্রান্তিক সীমানায় জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে এবং তাদের অনেকেই গৃহহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অসংখ্য মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরের বস্তিতে এসে আশ্রয় নিচ্ছে, আবার নদীভাঙা মানুষ উদ্বাস্তুর মতো জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। সতেরো কোটি মানুষের এই দেশে এখনো ভূমিহীন ও গৃহহীন, আশ্রয়হীন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অথচ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। এমন অবস্থাতে আমাদের গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের থাকা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা কতটা জরুরি তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। গত এক দশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে অনেকখানি অগ্রগতি লাভ করেছে, আশ্রয়ণ, গুচ্ছগ্রাম ইত্যাদি প্রকল্পের অধীন বিরাটসংখ্যক মানুষের থাকা ও জমি পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও সমাজে হতদরিদ্র, ভূমিহীন ও আশ্রয়হীন মানুষের উপস্থিতি একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। সে কারণেই শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালনে এমন একটি কর্মসূচির কথা তার দলের নেতা ও কর্মীদের সম্মুখে উপস্থাপন করেছেন যা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ হিসেবে তিনি মনে করেন। সে কারণে তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের সম্মুখে এই বছর এমন একটি দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন যেটি করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হতে পারে। এ কাজটি শুধু রাষ্ট্রের অর্থায়নে হবে বা করতে হবে এমনটি নয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকেই রয়েছেন যারা নিজ নিজ এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কাজটি করতে পারেন। সেটিই তিনি পরোক্ষভাবে তার দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন। আমরা জানি না তার এই নির্দেশনা কতজন বুঝেছেন কিংবা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেকেই আছেন যারা ব্যক্তিগতভাবে সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। তবে তারা আশ্রয়হীন ও গৃহহীন মানুষদের পাশে দাঁড়ালে মানুষগুলো শুধু আশ্রয় পাবে না, কর্ম পাবে না দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ারও সুযোগ পাবে। মনে রাখতে হবে গৃহহীন ও ভূমিহীন সব মানুষ যদি আমাদের উন্নয়ন ধারায় যুক্ত হতে পারে তাহলে বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জনে অনেক বেশি কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত অবদান রাখার উদ্যোগে অংশ নেবে, নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি উদ্যোগের অপেক্ষায় বসে থাকবে? সরকারি উদ্যোগে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কতটা সততার সঙ্গে পালন করবে সে সম্পর্কে সন্দেহমুক্ত হওয়া বেশ কঠিন কারণ স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে সততার অভাব নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। তাতে প্রকৃত ‍ভূমিহীন ও গৃহহীনরা কতটা লাভবান হবে নাকি স্থানীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি করার নতুন উৎস বের হয়ে আসবে সেটিও মস্ত বড় জিজ্ঞাসার বিষয়। শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান হিসেবে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষদের জন্য যদি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে ব্যবস্থা নিতে চান তাহলে সরকারি প্রশাসনকে যথাযথভাবে ব্যবহার করে কাজটি সমাপ্ত করলে অনেক বেশি ত্রু টি মুক্ত হতে পারে। দলীয়ভাবে কেউ কোথাও কোনো উদ্যোগ নিলে সেটি দল বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাজের মূল্যায়ন করতে পারে, দলে তাদের পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থাও থাকতে পারে। সেভাবেই দলীয় নেতাকর্মীদের কাজের মূল্যায়ন হতে পারে। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলায় পরিণত করতে এভাবেই হয়তো অগ্রসর হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন মানে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করা। আমরা সেই আদর্শ সর্বত্র যত বেশি দেখব, তত বেশি বুঝব যে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সঠিক পথে আছি। এটি একটি আদর্শের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে কে কীভাবে নিচ্ছেন সেটি দেখার বিষয়, দেখাও যাচ্ছে। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App