ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। রবিবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রেল ভবনে ২০১৯ সালে ঘটা এ দূর্ঘটনার দায় নিয়ে এ আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গত বছরের ১২ নভেম্বর দিবাগত রাতে মন্দবাগের ওই দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও ৫৪ জন আহত হন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেল দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার মতো নয়। কেউ নিহত হলে অর্থ দিয়ে ক্ষতি পোষানো যায় না। প্রাণ গেলে কারো প্রাণ দেয়া যায় না। মন্দবাগ দুর্ঘটনার পরই তাৎক্ষণিক ছুটে যাই। নিহত ও আহতদের পাশে দাঁড়াই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহযোগিতাও করেছি। তিনি বলেন, মন্দবাগে দুর্ঘটনার পর আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে ঘোষণা দেই তাদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই অর্থ আজ দেওয়া হলো। নিহত ও আহতদের চিকিৎসায় আরও প্রায় ১৭ লাখ টাকা খরচ করেছে রেল মন্ত্রণালয়।

রেলমন্ত্রী বলেন, রেলের কারণে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে, সেই দায়িত্ব আমরা নেই। কুলাউড়ার দুর্ঘটনার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। মন্দভাগ ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে দুর্ঘটনার দায়িত্বও আমরা নিয়েছি। রেলের কারণে যেসব দুর্ঘটনা, আমরা সবসময় সেই দায়িত্ব নেই। তবে কেউ রেললাইনে মোবাইল ফোনে কথা বলে নিহত হলে কিংবা ক্রসিং না মেনে দুর্ঘটনা ঘটলে সেই দায়িত্ব রেলের নয়।

তিনি জানান, সহায়তাপ্রাপ্তদের আটজন হবিগঞ্জের, চারজন চাঁদপুরের ও একজন নোয়াখালির। হবিগঞ্জের তিনজনের কোনো ওয়ারিশ আসেননি চেক নিতে। তাদের চেক হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হবে। ওয়ারিশ নিয়ে জটিলতার কারণে ১৭ জনের মধ্যে চারজনের পরিবারকে চেক দেওয়া হয়নি। জটিলতা কাটলে তাদের চেক দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।