×

জাতীয়

করোনাভাইরাসে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২০, ০৫:০৫ পিএম

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতংকের মুখে অবশেষে বাংলাদেশেও ৩ জন করোনা রোগি পাওয়া গেছে। এখন আর সন্দেহ নয় সত্যি সত্যি প্রস্তুতি নিতে হবে করোনাভাইরাসের জন্য। যদিও সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করাসহ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে সরকার। কিন্তু আদোও কি সরকার পারবে এই ঘনবসতি ঢাকাকে করোনাভাইরাসের আক্রমন থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে?

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন এবং চীনের চিকিৎসাপদ্ধতির সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মিলিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। তবে এ ভাইরাস আক্রান্ত হলে আধুনিক এবং বড় হাসপাতাল ছাড়া বাংলাদেশের জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা তারা করছেন। সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করছেন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলছিলেন, সারাদেশে সব হাসপাতালে পাঁচটি করে বেড নিয়ে আইসোলেশন ইউনিট করে রাখা হচ্ছে। এছাড়া আরো কিছু হাসপাতাল ডেজিগনেট করে দেয়া হচ্ছে। যে সব হাসপাতাল ভবন নতুন হয়েছে বা পড়ে আছে, যেমন ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আমরা অন্য রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিয়ে করোনার জন্য ডেজিগনেট করেছি। এরকম ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছিলেন, শুধু হাসপাতালে শয্যা রাখলেই হবে না। জেলা উপজেলায় এর চিকিৎসা কতটা আছে, তা নিয়ে তার সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, চিকিৎসাটা বড় বড় হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও করা সম্ভব না। ভেন্টিলেটার এবং মনিটর থাকতে হবে। সার্বক্ষণিক নার্স ডাক্তার থাকতে হবে। এমন ব্যবস্থা আমাদের কয়টা হাসপাতালে আছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিরোধের প্রক্রিয়ায় করোনা শনাক্ত করার ব্যবস্থাও একেবারে সীমিত। এ বিষয়টি আগে চিন্তা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App