ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল পেশাজীবী সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদের তিন শিক্ষককে শোকজ (কারণ দর্শানো) করেছে ইবি প্রশাসন। তারা হলেন- বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সহ-সভাপতি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপন।

তথ্য গোপনের দায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নিয়োগ বোর্ড হতে অব্যাহতি দান এবং কালো তালিকাভূক্ত হওয়ায় ড. মাহবুবুল আরফিনকে এবং ইবির বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর নকল করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর দায়ে ড. মিজানুর ও ড. আনোয়ারুলকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (০৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পৃথক দুই বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, জাককানইবির নিয়োগ বোর্ডে থাকাকালীন তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনের বিরুদ্ধে। পরে ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর ইবির ৬২তম সিন্ডিকেট সভার ৩নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টিকে নৈতিকতা বিরোধী কাজ উল্লেখ করে তাকে নিয়োগ বোর্ড থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ।

তাকে ভবিষ্যতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ কালো তালিকাভুক্ত করে প্রশাসন। ড. আরফিনের এ কাজের মাধ্যমে ইবির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে দাবি করে ইবি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড গঠনের প্রাক্কালে বিষয়টি নিয়ে তার ব্যাখ্যা জানা আবশ্যক বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হয় ড. আরফিনকে।

অন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেককে আবেদনপত্র দেয় ইবির কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি। এতে পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুবর রহমানের নামের স্থলে ড. মিজানুর ও সাধারণ সম্পাদক ড. মাহবুবুল আরফিনের স্থলে ড. আনোয়ারুল হক স্বাক্ষর দেন। আবেদনপত্রের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার প্রথম কলামে লেখা হয়, ‘এটা স্পষ্ট যে, এই মহলটি আপাদমস্তক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীকে রক্ষা করার এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে।’ এ বক্তব্যের ব্যাপারে এবং অন্যান্য অভিযোগের গ্রহণযোগ্য দালিলিক প্রমাণাদি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘নোটিসটি আমি পেয়েছি। কর্তৃপক্ষ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে। আমি যথাসময়ে উত্তরের সাপেক্ষে প্রশাসনের কাছে নথিপত্র উপস্থাপন করবো।