×

জাতীয়

ভাষণের স্থানটিতে নির্মিত হবে মঞ্চ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২০, ১২:৩২ পিএম

ভাষণের স্থানটিতে নির্মিত হবে মঞ্চ

রেসকোর্স ময়দানের সেই মঞ্চ।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন ঐতিহাসিক ভাষণ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক সেই স্থানটিতে বঙ্গবন্ধুর ‘তর্জনি উঁচিয়ে ভাষণের সময়কার ভঙ্গি’ ভাস্কর্য এবং মঞ্চ নির্মাণ করা হবে।

‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সেই স্থানটি নির্ধারণ করে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না’ তা জানতে চেয়ে ৫ মার্চ  ২০১৮ সালে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। এরপর ২০২০ সালের ৫ মার্চ সরকারের কাছে আবারো জানতে চায় হাইকোর্ট। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিবেদন দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্থলে নির্মাণ করা হবে তর্জনী উত্তোলিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। সেই সঙ্গে স্থানটি যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঐতিহাসিক ওই ভাষণকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিলেও নিজ দেশেই স্বীকৃতির এই অপেক্ষা হতাশজনক বলেও মন্তব্য করেন উচ্চ আদালত। এর আগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ওই স্থানটিতে ভাস্কর্য এবং মঞ্চ নির্মাণ না করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই এখানে শিশুপার্ক নির্মাণ করা হয়েছিল বলে রিট আবেদনে আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে, যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল সেই স্থানে। এই ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা, বর্তমান প্রজন্মকে শোনানো এবং এর মর্মার্থ তাদের জানানো উচিত।

১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির জনক ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যম বাঙালিদের দেখিয়েছিলেন মুক্তির দিশা।মহাত্মা গান্ধী, জর্জ ওয়াশিংটন, মাওসেতুং, হো-চি মিন, ফিদেল কাস্ট্রো, পেট্রিস লুমাম্বা ও কওমী নক্রুমা, নেলসন ম্যান্ডেলা, লেনিন, মার্শাল টিটোর মতো বঙ্গবন্ধুও তাঁর অসামান্য দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের চিরঞ্জীব উদাহরণের জন্য বিশ্ব-ইতিহাসের অনিবার্য ও অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচক্ষণতা ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে আরো দৃঢ় ভাবে প্রকাশ পায়। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন৷

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App