×

সাহিত্য

ঢাকা গ্যালারিতে ‘ওরা ১১ জন’

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২০, ০৯:২৯ পিএম

ঢাকা গ্যালারিতে ‘ওরা ১১ জন’

প্রদর্শনীতে ‘ওরা ১১ জন’

ভিজ্যুয়াল আর্ট, পারফর্মিং আর্ট, স্থাপত্যকলা, আলোকচিত্র ও চিত্রকর্মের শৈলীতে রাজধানীর অভিজাত বনানীর ঢাকা গ্যালারি সেজেছে অনন্য সাজে। শিল্পীর বিচিত্র অভিজ্ঞতা আর কল্পনার মিশেলে শিল্পের সুষমা ছড়িয়ে পড়েছে গ্যালারিজুড়ে। নারী শুধু কন্যা, জায়া, জননীই নয়, নারী শিল্পী এবং শিল্পের ছোঁয়ায় তুলে ধরতে পারেন সমাজ, রাষ্ট্র এর নানা রূপকে। শিল্পকর্মে যেমন উঠে এসেছে বৈচিত্রময় যাপিতজীবন ঠিক তেমনি স্থান পেয়েছে শিশু নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহতার প্রতিচ্ছবি। এমন নানা শিল্পকর্মে এগারো নারী শিল্পী গ্যালারিতে উপস্থাপন করেছেন সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বরূপ। আর এসব শিল্পকর্ম নিয়ে ‘ওরা ১১ জন’ শিরোনামের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আর্ট উইক। প্রদর্শনীর শিল্পীরা হলেন- ফরিদা জামান, আইভি জামান,দিলরুবা বেগম জলি, রোকেয়া সুলতানা, কনকচাঁপা চাকমা,নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা,আয়েশা সুলতানা, তাসনিম তারিক,সালমা আবেদিন পৃথী,ফারজানা হক ও রুমানা ইসলাম। শুক্রবার (৬মার্চ )বিকেলে বনানীর ১২ নাম্বার রোডের ঢাকা গ্যালারিতে দলীয় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় আরও বক্তৃতা করেন নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস- চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নীহারিকা মমতাজ ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মহসিন। নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন,বাংলাদেশে আসার পর অনেক শিল্পীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। এদেশের শিল্প-সংস্কৃতি সম্বন্ধেও আমি জেনেছি। এদেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। দিনে দিনে এদেশের শিল্প-সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি সংস্কৃতিতে নারীদেরও ব্যাপক অবদান রয়েছে। তারা এখন আর কোন অংশে পিছিয়ে নেই। ‘ওরা ১১ জন’ প্রদর্শনীটিই এর বাস্তব প্রমাণ। শিল্পকর্মগুলো দেখে আমি রীতিমতো অভিভূত। এ প্রদর্শনীতে আসতে পেরে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সেলিমা আহমেদ বলেন,আমাদের বিশ্বটা অনেক সুন্দর। কিন্তু বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরণের সহিংসতা। শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমাদের শিল্পীরা সেসব তুলে ধরেছেন। প্রতিবাদের পাশাপাশি শিল্পকর্মের মাধ্যমে তারা সমাজ,রাষ্ট্র ও জীবনের নানা দিকগুলো তুলে ধরেছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আমি এই প্রদর্শনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।মোহাম্মদ মহসিন বলেন, বৈচিত্রময় শৈল্পিক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে দুনিয়াজুড়ে শিল্পকলাকে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। এসময় তিনি অনুষ্ঠানে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানান। ১৪ মার্চ শেষ হবে এই প্রদর্শনী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App