×

পুরনো খবর

বিশ্ব অর্থনীতি ও বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০, ০৮:০৫ পিএম

বিশ্ব অর্থনীতি ও বাংলাদেশ

বিশ্ব অর্থনীতিতে চলছে মন্দাভাব, তার ওপর করোনা ভাইরাস হয়ে উঠেছে আরেক উৎকণ্ঠার কারণ। ৮ জানুয়ারি ২০২০ বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্টে চলতি বছরে সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি অত্যন্ত দুর্বল বলে আশঙ্কা করা হয়। বিশ^ব্যাংকের মতে, সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ জিডিপির তুলনায় ১৭০ শতাংশ বেশি হতে যাচ্ছে, যা ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল জিডিপির ৪৭ শতাংশ। আমেরিকা, জাপান ব্রিটেন ও ইউরোপের সরকার নিজেরাই বড় আকারের ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। এ বছরের শুরুতে বৈশ্বিক ঝুঁকি রিপোর্ট ২০২০ প্রকাশ করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিবেশ, সমাজব্যবস্থা, ভ‚রাজনীতি ও প্রযুক্তিগত ঝুঁকির পাশাপাশি স্থান পায় অর্থনৈতিক ঝুঁকিও। সংস্থাটির মতে, চলতি বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্পদের স্বল্পকালীন মূল্যবৃদ্ধি বা বুদবুদ, অবকাঠামোগত ব্যর্থতা, অর্থ সংকট, অবৈধ বাণিজ্য, বেকারত্ব এবং নিয়ন্ত্রণহীন মুদ্রাস্ফীতির মতো জটিল সমস্যার মুখোমুখি হবে। অপরদিকে অনলাইন পোর্টাল কোয়ার্টজ বলেছে, রাজনীতিই হতে পারে ২০২০ সালের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট।

এমন মন্দার শঙ্কায় যখন গলা পানিতে চুবানি খাচ্ছে চীনসহ সারা বিশ্বের অর্থনীতি, দিশাহারা চোখে সরষে ফুল দেখছে অর্থনীতিবিদরা। সেই রেশ কাটতেই না কাটতেই নেমে এলো আরেক ভয়াবহ বিপর্যয় করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাস যেন আজ শুধু ভাইরাস নয়, এ যেন এক মহামারির নাম পৃথিবীবাসীর কাছে। চীন থেকে শুরু হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। শুধু চীন নয় চীনের বাইরেও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলছে, ইতোমধ্যে বিশ্বের ৫৬ দেশে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে চীনসহ বিশ্ব অর্থনীতিতে, বিশ্লেষকরা মনে করে, করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের জিডিপি এ বছর প্রায় ১ শতাংশ কমে গিয়ে ৫.৬ শতাংশে হতে পারে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে জটিলতা। ২০১৯ সালের তথ্য মতে, চীনের মোট ১৬ কোটি মানুষ ভ্রমণ করে। সারা বিশ্বের মানুষ ভ্রমণে মোট ব্যয় করে ৪৮৬ মার্কিন ডলার, যেখানে চীনের মানুষ একক ব্যয় করে ৭৬২ মার্কিন ডলার।

করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের জনগণ ভ্রমণ করতে পারছে না, যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। করোনা ভাইরাসে আতঙ্ক না হয়ে আমাদের আমদানি-রপ্তানির পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থনীতিতে বহুল ব্যবহৃত দুটি সূচক নির্বাচন ও সুয়োগ ব্যয়। আমাদের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। একক বাজারের নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্র যেখনে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পাব বিশেষ করে আমদানিতে সর্বনিম্ন ব্যয় এবং রপ্তানিতে সর্বোচ্চ দাম প্রদানকারী দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। অতীতের মহামন্দা এবং বর্তমানের করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘকালীন বহুজাতিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে।

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। studentid098 @gmail.com

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App