ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে (১১) অপহরণ করে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। মামলা দায়েরের পর ধর্ষকের স্বজনরা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (৪ মার্চ) বেলা এগারোটার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নির্যাতিতা ছাত্রীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বালিকা বিদ্যালয় এবং পাশ্ববর্তী রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রহমতপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজ বাসস্টান্ডে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালিন সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক এইচএম জামিল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তারা, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী ও স্কুল ছাত্রীর ধর্ষক পশ্চিম রহমতপুর এলাকার রনজিৎ মূখার্জীর পুত্র অভিজিৎ মূখার্জীর (২৫) ফাঁসির দাবি করেন। একইসাথে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অবিনাশ চন্দ্র রায়, উপজেলা যুবলীগ নেতা কাজী মহিউদ্দিন লিটন, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, অভিভাবক কাজী ইমদাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ঢালী, হালিমা বেগম, ইউপি সদস্যা বিলকিস বেগম প্রমুখ। মামলার বরাত দিয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানায়, গত ১ মার্চ সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে অভিজিৎ মূখার্জী ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে সোমবার এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। সূত্রমতে, মামলা দায়েরের পর ধর্ষকের চাচা সুবল মূখার্জী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদি ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এয়ারর্পোট থানার ওসি এইচএম জাহিদ বিন আলম বলেন, হুমকির অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।