×

জাতীয়

করোনায় পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের কাজ ব্যাহত

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০, ০১:৫১ পিএম

করোনা ভাইরাসের কারনে পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ সেতুর কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের সহযোগিতা পেলে কাজটি যথাসময়ে শেষ করতে পারব। পদ্মাসেতুতে ১৭শ চায়নার শ্রমিক কাজ করতেন। ছুটিতে গিয়েছিলেন ২৬০ জন। করোনার প্রভাবে বর্তমানে পদ্মাসেতুতে ১৩শ শ্রমিক কাজ করছেন। যারা ছুটিতে গিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে ঢুকতে দিচ্ছে না। একারনে কাজে ধীরগতি।

বাংলাদেশের সকল প্রকার পোর্টে থার্মো স্ক্যানারের মনিটর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।  কারণ এ দেশের নিরাপত্তার জন্য খুবই দরকার। কারণ শুধু চীন নয় যে কোনো স্থান থেকে এ রোগের আগমন ঘটতে পারে।

বুধবার কেরানীগঞ্জের জাজিরা এলাকায় চায়না গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এসব কথা বলেন। এদিন পদ্মাসেতুর রেলবিভাগের কাজের অগ্রগতি জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কেউ জানে না মধ্য প্রাচ্য, কোরিয়া, ইরান, চীন বা ইটালি থেকে এ রোগ নিয়ে বাংলাদেশে আসছে। চীনে করোনাভাইরাস বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের মাত্র ১০ শতাংশ ঘটেছে। বাকি ঘটেছে বিশ্বের ৯০ শতাংশ অন্য দেশে। ঘটনা ও সংখ্যা নিয়ে গুজব রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ১১০ মিলিয়ন মাস্ক প্রতিদিন তৈরী হচ্ছে চীনে।

এটির জন্য প্রভাব পড়েছে। অনেকে নববর্ষে গিয়ে ফিরে আসতে পারেনি। যারা উহান প্রদেশের তারা এখন ফিরে আসছে না। কিন্তু অন্য প্রদেশের কর্মীরা ফিরে আসতে শুরু করেছে। তবে তারা বাংলাদেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এটির প্রভাব পড়েছে। তবে চীন ও বাংলাদেশ হাতে হাত ধরে এগিয়ে চললে এটিতে উতরানো কোনো কঠিন হবে। তিনটি মূল কথা আমি বলতে চাই।

প্রথমত চীন করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হচ্ছে। চীনের প্রকল্প চালু ও বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। তৃতীয়ত আমি বাংলাদেশ সরকার ও মানুষকে বলতে চাই, চীন এ সংকট জয় করবে।  আজ নয় কাল নয় এখনই  যে কোনো প্রকার বড় সমাবেশ পরিহার করতে হবে। যদি ধর্মীয় রীতি পালন করতে হয় তাহলে মাস্ক পড়া বাধ্যতা করা দরকার।

চায়না রেলওয়ে ও পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের পরিচালক ওয়াং কুন বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুভার্ব দেখা যাওয়ার পর এ প্রকল্পে কেউ যেন এ রোগে আক্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু কর্মী চীনা নববর্ষ উদ্‌যাপন করতে নিজ দেশে বেড়াতে গেছে। ছুটি কাটিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশে ফিরলেও অনেকে চীনে আটকা পড়েছেন। কাজ যোগ দিতে চীন থেকে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

সেতুর প্রকল্প পরিচালক লিউ জিয়ানহুয়া বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ৬৬৬ জন চীনা নাগরিক এ প্রকল্পে কাজ করেন। মূল সেতুর মোট ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩৯টি শেষ হয়েছে। মোট ৪১টির মধ্যে ২৫টি স্প্যান উঠেছে। সর্বোপরি এ প্রকল্পে ৮৫.৬৫ শতাংশ দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ সহযোগীদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী বছর শেষ হবে।

রেলওয়ের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।

করোনাভাইরাসের জন্য কাজের গতি কমে গেছে। কিছু জিনিস চীন থেকে  ২৩.৪ শতাংশ কাজের গতি। আর অর্থ খরচ হয়েছে ৩০ শতাংশ।  ১৬৯ কিলোমিটার লম্বা রেল লাইনসহ আরো ২০০ কিলোমিটার শাখা লাইন, ১৪টা নতুন স্টেশন তৈরী করা হবে। রেল প্রকল্পে ২৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App