চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর মডেল স্কুল নামে কোন স্কুল না থাকলেও কাগজে-কলমে মির্জাপুর মডেল স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে চার লক্ষ টাকা। উক্ত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ সহ একই প্যাকেজের নয়টি প্রকল্পের কাজের চূড়ান্ত বিল গত ১৬/০৭/ ২০১৭ তারিখে উত্তোলন করা হয়েছে। সম্প্রতি এই প্যাকেজের জামানত উত্তোলনের জন্য আবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাউন্ডারি ওয়ালের ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে হাটহাজারীর ইউএনও রুহুল আমিন মির্জাপুর ইউনিয়নে এই নামে কোন স্কুলই খুঁজে পাননি। পরে ইউএনও রুহুল আমিন আগামী তিন দিনের মধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করেন।
উক্ত প্রকল্পের ঠিকাদার এস কে এন্টারপ্রাইজ এর মালিক হারুন বলেন, মির্জাপুর মডেল স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ আমি পেয়েছিলাম তবে ওই সময়ে আমার কাজের প্রচুর চাপ থাকায় আমি ওই প্রকল্পের কাজটি উপ ঠিকাদারদের হস্তান্তর করি। তারা কাজ শেষ করে টাকা উত্তোলন করেছে। এ বিষয়ে আমি আর বেশি কিছু জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, আমার অফিসিয়াল ফাইলে বিগত ইউএনও থাকা অবস্থায় উক্ত কাজটি হয়ে গেছে। কিন্তু সরজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে মির্জাপুর মডেল স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই নামে মির্জাপুর এলাকায় কোন স্কুলও নেই!
এ বিষয়ে মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইউএনও রুহুল আমীনকে জানিয়েছেন, প্রকল্পটি মির্জাপুর ইউনিয়নের আব্দুল জলিল শাহ (প্রকাশ ঘুন্টিশাহ) মাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে বাস্তবে সেখানেও কোন বাউন্ডারি ওয়াল পাওয়া যায়নি বলে ইউএনও রুহুল আমীন জানান।
হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী চৌধুরী মোহাম্মদ আছিফ রেজা বলেন, ওই প্রকল্পের কাজটি আমার আগে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার আমলে হয়েছিল। ঘটনাটি আমি শুনেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি স্থায়ী সমাধান করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।