×

শিক্ষা

শেকৃবি ছাত্রলীগে দলাদলি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২০, ০৭:০৯ পিএম

শেকৃবি ছাত্রলীগে দলাদলি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) একই আঞ্চলিক গ্রুপের (কুমিল্লা বঙ্গ)সিট বন্টনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগেরসহ সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে রাতভর মারধর ও আহত করার অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট বলে দাবি করেছেন শেকৃবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন। তিনি সাংবাদিকদের নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজুদ্দৌলা হলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলে ধারনকৃত রেকর্ডিং দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে দাবি করেন। তথ্যমতে, সোমবার (২রা মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে আঞ্চলিক গ্রুপের (কুমিল্লা বঙ্গ) সিট বন্টন বিষয়ে মিটিং বসে।উক্ত মিটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে রাতভর কক্ষে আটক রেখে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠে রুদ্রনাথ টুটনের বিরুদ্ধে। সাংবাদিকরা এব্যাপারে দস্তগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি মিঠু ভাইয়ের (শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি) রাজনীতি করি কেন এ নিয়ে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। আমাকে তার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলেন।এছাড়াও আমাকে কাঠ দিয়ে মারধর করে মুখ, হাত ও পেটে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় আমি সোমবার ভোরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। মঙ্গলবার ( ৩রা মার্চ) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (শেকৃবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন তার বিবৃতিতে বলেন, ২রা মার্চ (সোমবার) রাত একটার দিকে আমরা আঞ্চলিক সিট বন্টনের জন্য মিটিং ডেকেছিলাম। এটা কোন রাজনৈতিক মিটিং ছিল না।মূলত জুনিয়রদের সিট বন্টনের উদ্দেশ্য মিটিং ডাকা হয়েছিল। যেহেতু দস্তগীর আমাদের আঞ্চলিক গ্রুপেরই (কুমিল্লা বঙ্গ)একজন সিনিয়র সদস্য। তাই তাকে মিটিংয়ে ডাকা হয়। কিন্তু মিটিংয়ে মারামারির অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। সেই মিটিংয়ে সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে কোন প্রকার মারামারি, হাতাহাতি ও আক্রমণ করা হয়নি। সে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এইসব নাটকীয়তার মাধ্যমে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে চাচ্ছে। সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন ও তার অনুসারীরা আবাসিক হলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এবং মোবাইলে ধারনকৃত একজনের স্বীকারোক্তি রেকর্ড সাংবাদিকদেরকে দেখানোর মাধ্যমে মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। মোস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুটন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলেরই নিজের মত করে রাজনীতি করার স্বাধীনতা রয়েছে। যে কেউ নিজের পছন্দমত ব্যক্তির সাথে রাজনীতি করতে পারে। এখানে কোন সীমাবদ্ধতা নেই।এছাড়াও তিনি মিথ্যাচারের প্রমান দিয়ে বলেন,সে সাংবাদিকদের সঙ্গে বলেছে সোমবার ভোরে সে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাকে বেশ কয়েকবার হলে মোটরসাইকেল সহ আসা-যাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে। এসময় শেকৃবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টুটন বলেন, এইসব নাটকীয়তার মাধ্যমে দস্তগীর আঞ্চলিক সমস্যাকে রাজনৈতিক সমস্যা বলে প্রচার করে। যা ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে।তাই তাকে শেকৃবি ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীর, জড়িত সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম সাদিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের শাস্তির দাবিও জানান। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে , আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App