মাদারীপুরে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২০, ০৫:৪৮ পিএম
মাদারীপুরের শিবচরে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে খরিপ (চৈতালি) ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ ) ভোরে জেলার ওপর দিয়ে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার সাথে মূষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। একই সাথে শিবচরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টিতে খরিপ (চৈতালি) ফসলের ক্ষেত সাদা হয়ে যায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে মেঘের গর্জন চলতে থাকে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই হঠাৎ শুরু হয় দমকা বাতাস। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মেঘের গর্জন ও বজ্রপাত। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাতাসের সঙ্গে মূষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। শিবচর পৌরসভাসহ উপজেলার দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, সন্যাসীরচর, শিবচর, বন্দরখোলা, মাদবরেরচর, পাচ্চর, উমেদপুর, দ্বিতীয়াখন্ড, কাঁঠালবাড়ি, চরজানাজাত, কুতুবপুর, বহেরাতলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট ভরে যায়। জেলার অন্যান্য স্থানে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাস বয়ে গেলেও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। শিবচরের কোথাও কোথাও বাড়ির উঠোন, রাস্তা-ঘাট, মহাসড়কে এবং ফসলের ক্ষেতে শিলার স্তুুপ জমে যায়। আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে শিবচর উপজেলার রবি শস্যের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে আম ও লিচুর মুকুলও ঝরে গেছে বলে কৃষকদের দাবি। ভোরের আকস্মিক ঝড়ে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথের নৌযান চলাচল সাময়িক ব্যাহত হয়।
কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘বাতাসের কারণে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিল। তবে বৃষ্টি ও বাতাস কমে যাওয়ায় লঞ্চ ও সীবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
পাঁচখোলা এলাকার কৃষক রাজ্জাক তায়ানী বলেন, ‘ভোরে বৃষ্টির সাথে প্রচুর পরিমান শিলা পরতে থাকে। বাড়ির উঠান ভরে যায় শিলায়। ঘাসের উপর সাদা তুষারের মতো মনে হয়। এতে সরিষা ও পেয়াজসহ রবি শস্যের বহু ক্ষতি হবে।’
মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএসএম গফুর বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে কিছু কিছু খরিপ ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তবে যেসব ফসলের এ মুহুর্তে পানি দরকার সেসব ফসলের উপকার হবে।’