×

জাতীয়

কী ছিল সাগরের ল্যাপটপে?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২০, ০৮:০০ পিএম

কী ছিল সাগরের ল্যাপটপে?

ফাইল ছবি

দেশের সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ড সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা। কি কারণে এই দম্পতি হত্যা করা হলো দীর্ঘ তদন্তেও কোন ক্লু খুঁজে পায়নি পুলিশ, ডিবি র‍্যাব, সিআইডির একাধিক তদন্ত টিম, পুনঃতদন্ত করেও কিছু পায়নি। অবশেষে আট বছরে ৭১ বার সময় নিয়ে ৭২ বারে সফলতা দেখিয়েছে র‍্যাব। সোমবার (২মার্চ) বিকেলে সাগর-রুনির হত্যা মামলার রিপোর্ট কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে দুইজন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলেন।

সবচেয়ে বড় ঘটনা হলো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুন হওয়ার পর বাসা থেকে তেমন কিছুই খোয়া যায়নি। শুধু দু'টি মোবাইল ফোন এবং দু'টি ল্যাপটপ পাওয়া যায়নি৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার কেন্দ্রে এখন খোয়া যাওয়া ঐ দু'টি ল্যাপটপ। আসলে কি ছিলো সেই মোবাইল ও ল্যাপটপ দুটিতে। কিন্তু ব্যর্থতার বিষয় হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা দুটি ল্যাপটপ ও মোবাইলের কোন খুঁজ দিতে পারেনি।

২০১২ সালের এগারোই ফেব্রুয়ারি। সেদিন খুব ভোরবেলা জানা গিয়েছিল, ঢাকায় নিজের ভাড়া বাসায় খুন হয়েছেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনি। একই ফ্ল্যাটে থাকলেও প্রাণে বেঁচে যান তাদের একমাত্র শিশুপুত্র মেঘ।

প্রশ্ন উঠেছে কী ছিল সাগরের ল্যাপটপ দু'টোয়? সাগরের অন্যতম ঘনিষ্ট বন্ধু, একসঙ্গে এনার্জি সেক্টরে একসঙ্গে কাজ করা সহকর্মী রফিকুল বাসার বলেন, ‘‘সাগর ভাই নিহত হওয়ার ঠিক চার দিন আগে আমার সঙ্গে তাঁর লম্বা সময় আলোচনা হয়েছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল তাঁর একটি বই। এর আগে ‘সাম্প্রতিক' থেকে সাগর ভাইয়ের একটি বই বের হয়েছে। বইয়ের নাম ‘কর্ণেলকে আমি মনে রেখেছি'। চার দিন আগের ঐ আলোচনায় সাগর ভাই আমাকে বলেন যে, বইটির পরবর্তী সংস্করণের লেখা তাঁর শেষ হয়েছে। এবারের বইমেলাতেই বইটা বের করতে চান তিনি।'' বইয়ের বিষয়স্তু সম্পর্কে সাগর ভাই বলেন, পার্বত্য এলাকার আদিবাসীদের নিয়ে তাঁর এই লেখা। কয়েকদিনের মধ্যেই পাণ্ডুলিপি আমার কাছে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তো তিনি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন।''

রফিকুল বাসার বলেন, ‘‘বইয়ের পাণ্ডুলিপি ছাড়াও সাগর ভাইয়ের অভ্যাস ছিল ব্যক্তিগত ডায়েরি লেখা। একই সঙ্গে তিনি ব্লগও লিখতেন। তাঁর ল্যাপটপ দু'টির মধ্যে একটি বড় সাইজের এবং অপরটি ছোট আকারের। ছোট ল্যাপটপটি তিনি সব সময় সঙ্গে রাখতেন। এছাড়া ল্যাপটপে তাঁর বিভিন্ন সময় করা রিপোর্টগুলোও রেখে দিতেন। নতুন কোনো তথ্য পেলেও সঙ্গে সঙ্গে সংযোজন করতেন নিজের ল্যাপটপে।'' আসলে কি ছিলো সাগরের ল্যাপটপে, এ বিষয়ে কী কিছু জানেন না তার পরিবারের কেউ।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ৫৮/এ/২, রশিদ লজ অ্যাপার্টমেন্টের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়৷ এ ঘটনায় রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান বাদি হয়ে শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ব়্যাব তদন্ত করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App