×

সাহিত্য

‘যুদ্ধ মাসে কেটেছে আঁধার ছড়িয়ে দাও শিল্পের অধিকার’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২০, ০৭:৩৯ পিএম

‘যুদ্ধ মাসে কেটেছে আঁধার ছড়িয়ে দাও শিল্পের অধিকার’

‘যুদ্ধ মাসে কেটেছে আঁধার ছড়িয়ে দাও শিল্পের অধিকার’ এ প্রতিপাদ্যে শুরু হলো সাত দিনব্যাপী জাতীয় পথনাটক উৎসব ২০২০। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে উপজীব্য করে দেশব্যাপী নাটক, সভা, সেমিনার সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে শুরু হলো এ উৎসব।

রোববার (১মার্চ ) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরার সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ এবং নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংকটের সময়ে পথনাটক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সবসময় পথনাটকের সহযোগীতা করে এসেছে এবং আগামীতেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মঞ্চনাটকের সাথে পথনাটকের একটি বৈচিত্রতা আছে। মঞ্চনাটকে দর্শক যেখানে প্রস্তুতি নিয়ে দেখতে আসে, সেখানে পথনাটকের সাথে দর্শকের তাৎক্ষণিক সংযোগ ঘটে। ফলে এর মাধ্যমে সহজে তাৎক্ষণিকভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়। পথনাটকের প্রয়োজনীয়তা কখনো ফুরাবে না, বরং এর ব্যপকতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

ঝুনা চৌধুরী বলেন, যখনই কোন অসংগতি, দোলাচাল সামনে আসে, সাধারণ মানুষের কাছে যখন একটি বিষয় পৌঁছে দিতে হয়, তখনই আমরা পথে নামি। স্বাধীণতার পর থেকেই পথনাটক এই কাজটি করে আসছে নিরলসভাবে। কামাল বায়েজিদ বলেন, এই উৎসব আমাদের জাগ্রত করে। তবে এই শহরে এমন অনেক মানুষ আছে যারা অন্য সংস্কৃতি লালন করে কিন্তু তিন পুরুষ পার হয়ে গেলেও শহীদ মিনার চেনেন না। তাদের জাগ্রত করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতির উন্নয়নে একটি সাংস্কৃতিক অধিদপ্তর তৈরী এখন সময়ের দাবী।

মাসুম রেজা বলেন, আমার এই নাট্যকার হয়ে ওঠা পথনাটকের মধ্য দিয়ে। পথনাটকের এমন একটি শক্তি আছে যা যেকোন শোষণ শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠতে পারে এবং আন্দোলনকে বেগবান করে তুলতে পারে। পথনাটকে এবং মঞ্চনাটকে এখন দর্শকের অভাব। অন্যান্য দেশে নাটক নিয়ে বহুল প্রচার থাকলেও আমাদের দেশে তা কম। তাই এই বিষয়ে একটি আলাদা ওয়েবসাইট করে নাটকের প্রদর্শনী ও নাটক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দর্শকদের জন্য আরো সহজতরভাবে প্রদান করা যেতে পারে।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ গিয়াস ও উৎসবের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান। ঘোষণা পত্র পাঠ করেন পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য হামিদুর রহমান। উৎসব শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত ও গণসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। এ সময় অনিক বসুর পরিচালনায় উৎসব নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন ‘স্পন্দন’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উদ্বোধনী মঞ্চে অপেরা নাট্যদল পরিবেশন করে নাহিদ স্মৃতির রচনা ও নির্দেশনায় পথনাটক ‘ভাসা ভাসা ভাষার কথা’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চ পরিবেশন করে আফরীন হুদা তোরার রচনা ও নির্দেশনায় পথনাটক ‘ভাস্কর্য’, ভিষণ থিয়েটার পরিবেশন করে অধ্যাপক মলয় ভৌমিকের রচনা ও শেখ ফিরোজ আহমেদ বাবুর নির্দেশনায় পথনাটক ‘প্রতিপক্ষ’ এবং বাঙলা নাট্যদল পরিবেশন করে নাসির আহম্মেদ দূর্জয়ের রচনা এবং হ ম সহিদুজ্জামানের নির্দেশনায় পথনাটক ‘বৃত্ত’। উৎসবের সাত দিনে একই স্থানে প্রতিদিন বিকেলে মোট ৩৮টি পথনাটক প্রদর্শিত হবে। উৎসব চলবে সাত মার্চ পর্যন্ত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App