×

সারাদেশ

অবশেষে শিকল মুক্ত হলেন ইটভাটা শ্রমিক রাম বসাক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২০, ০২:৫৫ পিএম

অবশেষে শিকল মুক্ত হলেন ইটভাটা শ্রমিক রাম বসাক
নির্যাতিত ইটভাটা শ্রমিক রাম বসাককে শিকল মুক্ত করে পরিবারে কাছে হস্তান্তরের আগে ৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় ইটভাটার ম্যানেজার স্বপন মোল্লা ও এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ইটভাটা শ্রমিককে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুদাসপুরের মেসার্স এএসবি বিক্সস নামের ইটভাটার একটি গোপন কক্ষে আটকে রেখে তিনদিন ধরে ওই নির্যাতন চালানো হয়। ভাটা মালিক আ-লীগ নেতা আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে আলমগীর মোল্লা ও তার ভাতিজা ছাবলু যৌথভাবে ওই নির্যাতন চালিয়েছেন। এঘটনায় শনিবার সকাল দশটার দিকে নির্যাতিত রাম বসাকের পিতা ছুটু বসাক গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। নির্যাতনের শিকার শ্রমিক রাম বসাক জানান- তিনি উপজেলার শাহাপুর গ্রামের আ-লীগ নেতা আব্দুর রহিম মোল্লার ইটভাটায় মাটি তৈরির কাজ করেন। অভাবে পড়ে বর্ষা মওসুমে ১৫ হাজার টাকার অগ্রিম শ্রম বিক্রি করে ছিলেন তিনি। তাও সিরাজুল ইসলাম নামের এক সর্দারের মাধ্যমে। চার মাস আগে কাজ শুরু করে ১৫ হাজার টাকা শোধ করেছেন তিনি। কিন্তু সর্দার সিরাজুলসহ কিছু শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে শিকলে বেঁধে ৩ দিন নির্যাতন করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে- গুরুদাসপুরের শাহাপুর গ্রামে আ’লীগ নেতা আব্দুর রহিম মোল্লার মেসার্স এএসবি বিক্সস নামের একটি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। সেখানেই অগ্রিম বিক্রি করা শ্রম কাজের মাধ্যমে পরিশোধ করছিলেন পাশ্ববর্তী তাড়াশ উপজেলার ছুটু বসাকের ছেলে রাম বসাক। ওই উপজেলারই শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম এই ইটভাটার শ্রমিক সর্দারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। মেসার্স এএসবি বিক্সসের স্বত্বাধীকারি অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ও ছাবলু পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্যাতিত শ্রমিক রাম বসাকের পিতা ছুটু বসাক অভিযোগ করেন- কাজের জন্যশ্রমিক সর্দারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা পরিশোধ হলেও ছেলেকে তিন দিন ধরে শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়েছে। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন-শ্রমিক রাম বসাককে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে জবানবন্ধির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যঅভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।#

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App