×

আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে ছড়ানোর শঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৩৬ এএম

বিশ্বজুড়ে ছড়ানোর শঙ্কা

ভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে।

মহামারি রূপ নেয়ার মুখে রয়েছে নতুন করোনা ভাইরাস। অদৃশ্য ঘাতকের সংক্রমণ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এখনই তাকে ঠেকাতে না পারলে প্রকোপ দেখা দেবে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস গেব্রিয়েসাস বলেছেন, ঘাতক ভাইরাস তার ‘নির্ণায়ক বিন্দুতে’ পৌঁছে গেছে এবং এর ‘মহামারি হয়ে ওঠার আশঙ্কা’ প্রবল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোকে এজন্য আরো দ্রুত এবং জরুরি পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।

ভয়াবহ ভাইরাসটি হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে চীনের বাইরের দেশগুলোতে। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো চীনের চেয়ে চীনের বাইরে বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের ভেতর ভাইরাসটিকে আর ‘বেঁধে রাখা’ সম্ভব না হওয়ায় এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের চিকিৎসা উপকরণের মজুদ বাড়াচ্ছে। বিশ্বজুড়ে নতুন অর্থনৈতিক মন্দারও আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। গত কয়েকদিনে ইরান ও ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। এমন কি ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুমে এবতেকারও আক্রান্ত হয়েছেন।

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়াসহ অন্তত নতুন ১০ দেশে ভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তেদ্রোস বলেন, আমরা এমন এক সংবেদনশীল পর্যায়ে পৌঁছে গেছি যে, সংক্রমণ পরিস্থিতি যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে। ভাইরাসটির মহামারি হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এখন আতঙ্কিত হওয়ার সময় নয়। এখন সময় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার ও জীবন বাঁচানোর। সবশেষ হিসেবে, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ছাড়িয়েছে ইতোমধ্যে। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া বিশ্বের বাকি সব মহাদেশের অন্তত ৫০ দেশে ছড়িয়ে গেছে ঘাতক ভাইরাস। মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ২,৮৫৮ জনে।

বিপর্যয় ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ের পাশাপাশি শিক্ষাজীবন থমকে গেছে জাপান এবং ইরাকেও। এসব দেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সৌদি আরব বিদেশি ওমরাহ যাত্রীদের সেদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইরানে দেশের ভেতরই অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে। তেহরান ও অন্যান্য শহরে বাতিল হয়ে গেছে জুমার নামাজ।

চীন থেকে আসা বিদেশিদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে সেদেশের সরকার। ইতালিতে ১৭ জনের প্রাণ গেছে। তাদের ১১ শহর চলে গেছে ‘কোয়ারান্টাইনে’। সব ধরনের উৎসব বাতিল রেখেছে গ্রিস। গত বৃহস্পতিবার দেশের ভেতর আরো ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে চীন। এর মধ্যে ৪১ জনই হুবেই প্রদেশের। সেখানে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৩২৭ জন। তাদের নয় জন ছাড়া বাকি সবাই হুবেইয়ের।

দক্ষিণ কোরিয়ায় আরো ২৫৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অন্যদিকে চীনে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ হাজার ১১৭ জন। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ইরানে ২৬ জন, ইতালিতে ১৭ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৩ জন, জাপানে ৮ জন, হংকং ও ফ্রান্সে দুইজন করে ৪ এবং ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে দুইজন, সব মিলিয়ে মোট ৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App