×

সারাদেশ

এমপি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক এমপির

Icon

nakib

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৪৪ পিএম

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধীকার ভিত্তিক ‘আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘর নির্মাণ, হতদরিদ্রদের ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্প, ধান ক্রয়, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন উলিপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন তালুকদার। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ। আজ শুক্রবার দুপুরে সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন তালুকদার তার উলিপুরস্থ নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতি শিউলী, সিনিয়র সহ সভাপতি সোলায়মান সরদার বাদশা, উলিপুর পৌর যুব লীগের আহবায়ক মিঠু দেবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু, সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে এমপি থাকাকালীন দুর্নীতি ও বর্তমানে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। তারই জবাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৯১ সালে আমি যখন এ আসনের এমপি তখন দেশে বিএনপি সরকারের শাসন আমল। ওই সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে ছিলাম আমরা। সে সময় বিরোধী দলের এমপি’র অনুকুলে কোন বরাদ্দ আসতো না। যে সমস্ত বরাদ্দ আসতো তা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হতো। আমরা কোন মন্ত্রণালয়ে গেলে ওই সময়ের মন্ত্রীরা বলতেন আপনারা আনন্দোলন করেন! সাবেক এমপি আরো বলেন, দল ক্ষমতাসীন হওয়ার সুযোগে প্রকল্প গুলোতে লাগামহীন দুর্নীতি করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। এখন আর আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আমরা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে এখন থেকে মাঠে নামবো। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে দলকে পরিবার তন্ত্রে রুপান্তের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। ওই সময় আওয়ামী লীগের দুর্দিনে আমি গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করে ৯১ সালে এ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেছিলাম। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে রংপুরের নয়নমনি খেতাব দিয়েছিলেন। সেই দল আমার চোখের সামনে তছনছ হবে আমি তা মেনে নিতে পারি না। আমার আমলে উদার রাজনীতির ফলে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় যথা সময়ে কমিটি নিবার্চন করা হতো। বর্তমানে দলের অভ্যন্তরে কমিটির সদস্যদের কথায় কথায় শোকজ, সাময়িক বহিষ্কারের নোটিশ পাঠানো হয় তা গঠনতন্ত্র পরিপন্থি বলে দাবি করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, যেসব ইউনিয়নে গত কাউন্সিলে এডহক কমিটি করা হয়েছিলো যেমন ধামশ্রেনী ও তবকপুর। এছাড়াও সময়োত্তীর্ন ওয়ার্ড কমিটি ও মনোনীত ইউনিয়ন কমিটি বাতিল করে নতুন ভাবে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি করে অবিলম্বে উপজেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জোড় দাবি জানান। বর্তমানে দলে কোন শৃঙ্খলা নেই, সভাপতির অবর্তমানে ১ নং সিনিয়র সহ সভাপতি দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু এখানে তা না করে গায়ের জোড়ে ৮ নং সহ সভাপতিকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এমন অসংখ্য অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এধরনের অভিযোগ তুলে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। উনারা আসলে বিএনপি ঘরোনার এ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App