দেশে দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বিশ্বজুড়েই। কেউ কেউ বলছেন, চীনাদের অদ্ভুত বিচিত্র খাবার থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। কেননা, চীনাদের খাবার উদ্ভট সব উপাদানে ভরপুর। এই যদি হয় আপনার বিশ্বাস তাহলে গোটা বিশ্বের বিচিত্র সব খাবারের সঙ্গে আপনার পরিচয়ই হয়নি।
ধরুন, কোনো দেশে বহু পুরোনো ডিম বা ডুবো তেলে ভাজা মাকড়শা কিংবা টিকটিকির শুঁটকি দারুণ সুস্বাদু! কিন্তু আপনি কি পারবেন দারুণ সেই সুস্বাদু খাবার খেতে? আচ্ছা খেতে না পারুন, অন্তত চলুন জেনে নিই বিচিত্র কিছু খাবারের কথা। চীন দিয়েই শুরু হোক-
১। সী হর্স স্টিক (চীন): কাঠিতে লাগানো ললিপপ তো আপনারা অনেকেই খেয়েছেন। কিন্তু যদি কাঁকড়াবিছে, শতপদী, তারামাছ, সীহর্স ভাজা কাঠির আগায় ললিপপের মতো করে সাজানো দেখতে কিংবা এর স্বাদ নিতে চান তাহলে ঘুরে আসতে হবে আপনাকে চীন থেকে।
২। মাউস ওয়াইন (চীন): ওয়াইন শব্দের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এটি অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়। ওয়াইন বিশ্বের সব দেশেই জনপ্রিয়। তবে চীনে ওয়াইনের বিশেষ ধরণ পাবেন। যা বাচ্চা ইঁদুর ডুবিয়ে রাখা ওয়াইন। খেতে পারবেন?
৩। সেঞ্চুরি এগ (চীন): ভিটামিন ও প্রোটিনের উৎস ডিম সকালের নাশতায় চাই-ই চাই। শুধু কি তাই? ডিম দিয়ে কত পদের খাবার খেয়ে থাকি আমরা। তবে চীনাদের কাছে ডিমের অদ্ভুত এক রেসিপি রয়েছে। একশ বা বেশি বছর ধরে চীনামাটি, ছাই বা কাদায় প্রিজার্ভ করে রাখা খালো হয়ে যাওয়া সেদ্ধ ডিম সুস্বাদু খাবার।
৪। ফুগু বা পাফারফিশ (জাপান): ফুগু নামে পরিচিত পাফারফিশের তৈরি খাবারটি যেমন অদ্ভুত তেমনি ভয়ঙ্কর বিপদজনকও বটে। কেননা, পাফারফিশটি ভীষণ বিষাক্ত। এর মধ্যে যে বিষ রয়েছে তা এক সঙ্গে ২০ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে, যার কোনো অ্যান্টিডোটও নেই।
৫। জায়ান্ট টুনা আইবল (জাপান): জায়ান্ট টুনা আইবল হচ্ছে বিশাল আকৃতির টুনামাছের শুধুমাত্র চোখগুলো। ছবিটি দেখেই বুঝবেন কি কারণে এটি অদ্ভুত খাবারের তালিকায় রয়েছে।
৬। টিকটিকি শুঁটকি (হংকং): শুঁটকি মাছ তো অনেকেরই প্রিয় খাবার। তবে হংকং গেলে আপনি শুধু শুঁটকি মাছই পাবেন না, এর সঙ্গে পাবেন টিকটিকির শুঁটকিও! তাও তাদের কাছে দারুণ সুস্বাদু!
৭। বালুট (ফিলিপাইন): বালুট, নামটি বেশ স্মার্টই বটে। তবে এই খাবার হয়তো আপনার কাছে হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য খাবার! কারণ ভেতরে খানিকটা বাচ্চা হয়ে যাওয়া হাসের ডিম সেদ্ধ আপনি নিশ্চয়ই কোনোদিন খাননি!
৮। মুচমুচে মাকড়শা (কম্বোডিয়া): বিকেলের নাশতায় স্ন্যাকস হিসেবে তেলে ভাজা মুচমুচে পাকোড়া খেতে আমরা সকলেই ভালোবাসি। তবে কম্বোডিয়ার মানুষদের কাছে স্ন্যাকস হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় তেলে ভাজা মুচমুচে টারান্টুলা মাকড়শা।
শেষে এটা বলতেই হবে অদ্ভুত ধরণের খাবারের দিক থেকে চীন এবং জাপানই সব চাইতে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।