×

জাতীয়

আইটি ভিলেজের জমির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম

আইটি ভিলেজের জমির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ

আইটি ভিলেজ

মহাখালীর কড়াইল বস্তি সংলগ্ন আইটি ভিলেজ এর জন্য বরাদ্দকৃত ৪৭ একর ভূমি সম্পর্কিত প্রায় ১০-১১ বছর চলা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বৃহষ্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সভাপতি এ.কে.এম রহমতুল্লাহ এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেনজীর আহমদ, মোঃ নুরুল আমিন, জাকিয়া পারভীন খানম এবং অপরাজিতা হক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সভাপতির বিশেষ আমন্ত্রণে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বৈঠকে যোগদান করেন।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালী ও গুলশানের মধ্যবর্তী এলাকায় কড়াইল বস্তি। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি এটি। সেটাকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে গড়ে তোলা হবে এক তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র- ‘মহাখালী আইটি ভিলেজ’।

ইতিমধ্যে আইটি ভিলেজ এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদন (ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট) তৈরি করা হয়েছে। কাজটি করেছে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন’। এই কোম্পানিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাখালী লাল সরাই-কড়াইল মৌজার ১৭০ দশমিক ৪ একর জমির মালিক বিটিসিএল। এর মধ্যে ১৯৮৯ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডব্লিউডি) বরাদ্দ পায় ৯০ একর জমি। সেই সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার এই জায়গায় থাকার জন্য বিটিসিএলের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জায়গা করে দেয়। এ থেকে কড়াইল বস্তিতে রূপান্তরিত হয়। যা পরবর্তীতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তিতে রূপ পায়।

১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ৯০ একর জমির মধ্যে ৪৭ একর বরাদ্দ করা হয় মিনিস্ট্রি অব সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির নামে। পরবর্তী সময়ে সেখানে আইটি ভিলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নেয় সরকার। সেই পরিকল্পনার অংশ অনুযায়ী ২০১২ সালে সেখানে জরিপ চালানো হয়। জরিপে দেখা যায়, বরাদ্দকৃত ৪৭ একর জমির মধ্যে ৩ একর জমি গুলশান লেকে পড়েছে। ফলে স্থাপনা তৈরির জন্য থাকে ৪৪ একর। এই জমিতে আইটি ভিলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বস্তি উচ্ছেদের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সেখানে বসবাসকারীরা আদালতে মামলা করেন। যা বর্তমান চলমান।

মহাখালী আইটি ভিলেজের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ। নির্মাণাধীনগুলোর পাশাপাশি আরো ১২টি আইটি পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব আইটি পার্কের মধ্যেই অন্তর্ভূক্ত মহাখালীসহ সাতটি বিভাগীয় আইটি ভিলেজ প্রকল্প।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App