শিক্ষার মান উন্নত করতে সবকিছুই আমরা করবো
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০১:২৩ পিএম
কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণ পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষার মান উন্নত করতে ও শিক্ষিত জাতি গঠনে যা যা প্রয়োজন সরকারের পক্ষ থেকে তার সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণ পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি, উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় গবেষণা চালাতে হবে। বর্তমান যুগ এগিয়ে যাচ্ছে। এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে চলতে হলে আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন সমাজ গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে হবে। সেই সাথে সাথে সব বিষয় এখন বিজ্ঞানভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই সেভাবেই আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে গড়ে তুলতে। এজন্য প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করে দিচ্ছি। যাতে করে ঘরে বসেই ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পথ অনুসরণ করেই সারা বাংলাদেশে ২৬ হাজার স্কুলকে জাতীয়করণ করেছি। সেই সঙ্গে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। এর বাইরে প্রায় দুই কোটি তিন লাখ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং উপবৃত্তি দিয়ে আসছি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মায়ের কাছে আমরা সেই উপবৃত্তি পৌঁছে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা যখন এই পদ্ধতিটা চালু করি তখন ২০ লাখ মায়ের হাতে কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তাদেরকে আমরা মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছি। যাতে করে উপবৃত্তির টাকাটা সরাসরি মায়েদের কাছে চলে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল আমাদের ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞান পড়ার কোনো আগ্রহই পেত না। নবম শ্রেণি থেকে কে কোন সাবজেক্টে পড়বে এরকম একটি বিভক্তি ছিল। আমার মনে হয় এটা থাকার দরকার নাই। এসএসসি পর্যন্ত সব সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। এসএসসির পর বিভক্তি হলে ভালই হবে। তাহলে অন্তত মেধা বিকাশের একটা সুযোগ আমাদের শিক্ষার্থীরা পাবে। কারণ, এখন সব সাবজেক্ট বিজ্ঞানভিত্তিক। আমরা চাই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে।