×

খেলা

টাইগারদের স্বস্তির জয়

Icon

nakib

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:১১ পিএম

টাইগারদের স্বস্তির জয়

টাইগার বাহিনী

সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেসে খেলে জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। স্পিনার নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলামের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা। সেই সঙ্গে যোগ হলো তামিম, মুশফিক আর মুমিনুল হকের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত দলীয় পারফরমেন্সে ভর করে জিম্বাবুয়েকে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।

এই নিয়ে টানা ৬ টেস্ট এবং দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর জয়ের দেখা পেল টাইগাররা। এছাড়া প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের অনেক হাসি-কান্নার স্মৃতি রয়েছে। টাইগারদের পুরনো বন্ধু মনে করা হয় জিম্বাবুয়েকে। এবারের হোম সিরিজেও তারই নজির এলো শততম ম্যাচ খেলার মাধ্যমে। ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো ভাবছেন এটা কীভাবে সম্ভব। আসলে ৩ ফরমেট মিলিয়ে আজ ঢাকা টেস্টের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই দল শততম ম্যাচ লড়াই করল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি টেস্টের ১৭তম লড়াই ছিল। যেখানে উভয় দল সমান ৭টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। আর ৩ ম্যাচ ড্র। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৭২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। আর টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১১ ম্যাচ।

টেস্টে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। তবে দুই দশকের মধ্যে সাদা পোশাকে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল। এর আগে ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারান টাইগারা। যাই হোক আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত এ জয়ে টেস্টে হারের বৃত্ত থেকে বের হলেন মুমিনুল বাহিনী। বড় কঠিন সময়ে বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সাকিব আল হাসানের ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসায় ও টানা টেস্ট হারে দল যখন ছিন্ন ভিন্ন ঠিক তখন ভারত সিরিজে অধিনায়ক করে পাঠানো হলে মুমিনুলকে। ভারত সফরে তার নেতৃত্বে কুপোকাত টাইগাররা। পাকিস্তান সফরে গিয়ে একাই অবস্থা। চারদিক থেকেই দুয়ো ধ্বনি ভেসে আসছিল। এমন পরিস্থিতি যে কোনো অধিনায়কের জন্যই বিব্রতকর।

সেই চাপ নিয়েই জিম্বাবুয়ে বধ করল মুমিনুল বাহিনী। গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানালেন খুব একটা চাপ নেননি। মুমিনুল বলেন, চাপে ছিলাম না। মানুষের যতটুকু চাপ নেয়ার দরকার ততটুকু ছিল। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে এবং দলের একজন সদস্য হিসেবে সব সময় সবার কাছে এটা কাম্য, যদি আপনি কিছু করতে পারেন। আমার মনে হয় আমি দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি এবং সেটা করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। এই টেস্টে অন্তত একটি বিষয় আছে যা সন্তুষ্টির। সেটা হলো- ব্যাটসম্যান, পেসার ও স্পিনারদের সবাই সময়ের দাবি মিটিয়েছেন। যখন যেটা দরকার, তা করে দেখিয়েছেন। আসল কথা হলো দলের যা দরকার, সবাই সেভাবে পারফর্ম করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App