×

সারাদেশ

শ্রীপুরে অনুমতি ছাড়াই সরকারি কলেজের গাছ কর্তন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:৩৬ পিএম

শ্রীপুরে অনুমতি ছাড়াই সরকারি কলেজের গাছ কর্তন

অনুমতি ছাড়াই কর্তন করা হচ্ছে সরকারি কলেজের মুল্যবান গাছ

কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই গাজীপুরের শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের মূল্যবান একটি মেহগনি ও একটি কাঁঠাল গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে ওই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন শ্রমিকদের দিয়ে গাছ দুটি কাটিয়ে নেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও (ইউএনও) বিষয়টি অবগত নন। মেহগনি গাছটি নিজ হাতে রোপন করেছিলেন আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী ও গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদ সদ্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী। কলেজের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন তিনি স্মৃতি হিসেবে ওই গাছটি রোপন করেছিলেন। শ্রীপুরবাসীর হৃদয় থেকে তাঁর মৃতে্যুর শোক কাটতে না কাটতেই তার রোপণ করা গাছটি কেটে ফেলার কারণে কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। অধ্যাপক মো. রুহুল আমীনের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ফুঁসে উঠছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শ্রীপুরের সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার মানুষ। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করেই হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে এসে গাছ কাটতে লাগিয়ে দেন। কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক গাছ কাটার বৈধতা জানতে চাইলে তিনি কারও কথায় কর্ণপাত করেননি। শিক্ষকেরা জানান, গাছ দুটি বাজারমুল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা। ওই শিক্ষক কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এর আগেও নানা ধরনের সমালোচনামূলক কাজ করেছেন। কলেজের অভ্যন্তরীণ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আইয়ুব খানের মার্শাল’ ল এর প্রশংসা করে বক্তব্য দিলে সর্ব মহল তাকে ধিক্কার জানান। তিনি কলেজ সংক্রান্ত যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে তাকে উপজেলার সর্বোচ্চ ব্যক্তি (স্থানীয় সাংসদ) কাগজেপত্রে সমর্থন দিয়েছেন বলে দম্ভোক্তি দেখিয়ে থাকেন। এ কারণে কলেজের শিক্ষকেরাও মানসম্মানের ভয়ে মুখ খোলেন না। শিক্ষকেরা জানান, মেহগনি গাছটি গাজীপুর-৩ আসনের পাঁচবারের সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর স্মৃতি হিসেবে তার নিজ হাতে রোপন করেছিল। এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাছাড়া সারাদেশে জাতীয়করণকৃত কলেজের সাথে এ কলেজটিও জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর সে নিয়েমে কলেজের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নামে দলিল করে দেয়া হয়েছে। জাতীয়করণের নিয়ম অনুযায়ী কলেজের কোনো সম্পত্তি পরিবর্তন স্টাফ কাউন্সিলের অনুমতি বা মন্ত্রণালয় ছাড়া সিদ্ধান্ত নেয়ার বৈধতা নেই। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামছুল আরেফীন বলেন, তিনিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। অভিযুক্ত হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন গাছ কাটার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, কলেজের প্রয়োজনে গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি ছড়াছড়ি না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App