মুমিনুলের সেঞ্চুরি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:২২ এএম
সেঞ্চুরি হাঁকালেন মুমিনুল
একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। আজ সেখান থেকে তৃতীয় দিন শুরু করেছে স্বাগতিকরা। মুশফিক ও মুমিনুলের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ ৭৯তম ওভারে লিড নেয়। ইতোমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চরি হাঁকালেন মুমিনুল হক। তিনশ ছাড়াল বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ টেস্ট দলের পারফরমেন্স বেশ হতাশাজনক। শেষ ছয় টেস্টের পাঁচটিতেই ছিল ইনিংস ব্যবধানে হার, ছিল না কারো সেঞ্চুরি। ব্যাটসম্যানদের এই করুণ অবস্থার মধ্যেও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সরাসরি কথা দিয়েছিলেন খুব শিগগিরই ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি এমনকি ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখাও পাবেন।গত ২১ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের আগে শেষবার অনুশীলন করে সংবাদ সম্মেলনে এ কথাই জানান মুমিনুল।
তিনি বলেন, ক্রিকেটাররা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়া সম্ভব। সত্যি বলতে গেলে আমার কাছে মনে হয় এতগুলো ইনিংসে একটা সেঞ্চুরি না থাকা মানে হয়তো আপনি নিচের দিকেই আছেন। আমার কাছে মনে হয় মানুষের মাঝে মাঝে একটু ব্যাড প্যাচ (খারাপ সময়) যায়। দল হিসেবে আমরা হয়তো ব্যাড প্যাচ পার করছি। ইনশাআল্লাহ আমরা এটা ওভারকামের জন্য কাজ করছি। কথা দিচ্ছি আমাদের টিমের কেউ সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি কিংবা ট্রিপল সেঞ্চুরি করবে। কথা দিলাম কেউ একজন বড় ইনিংস খেলবে, ইনশাআল্লাহ।’
একটা সময় তাকে বলা হতো ‘বাংলাদেশের ব্র্যাডমান’। টেস্টে তার গড়টা ছিল ভীষণ ঈর্ষণীয়। ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ ইনিংসে একবারও দুই অংকের নিচে আউট হননি, মুমিনুল হক মাঠে নামলেই কমপক্ষে ফিফটির আশা নিয়ে বসে থাকতেন সমর্থকরা। সেই মুমিনুল ক্রমেই তার ঈর্ষণীয় টেস্ট গড় হারিয়েছেন।
গত ১৪ মাসে একটি সেঞ্চুরির দেখা পাননি। এই সময়ে ১৪ ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি মোটে একটি। সেটা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারা চট্টগ্রাম টেস্টে। এরপর আরো ৭ ইনিংস পেরিয়েছে, ফিফটি পাওয়া হয়নি মুমিনুলের। ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন এবং এর মধ্যেই পেয়েছেন দলের নেতৃত্ব। অধিনায়ক হিসেবে ৬ ইনিংসে একটিও ফিফটি নেই। অধিনায়ক যদি ছন্দে না থাকেন, তার প্রভাব দলের পারফরমেন্সে পড়েই। মুমিনুল হককে নিয়ে তাই দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না।
অবশেষে সেই দুশ্চিন্তা কাটিয়ে খারাপ সময় পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিলেন মুমিনুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে গতকাল দেখেশুনে খেলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি এবং সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। দিন শেষে মুুমিনুল সেঞ্চুরি থেকে আর ২১ রানে পিছিয়ে। তার ব্যাটে ভর করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। স্কোর দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ২৪০ রান। মুমিনুল হক ৭৯ ও মুশফিকুর রহিম ৩২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
প্রথম দিনের ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে গতকাল ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনে ৩৭ রানে বাকি ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
শেষ পর্যন্ত ২৬৫ রানে থামে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। জিম্বাবুয়ের শেষ চার উইকেটের দুটি করে ভাগাভাগি করে নেন আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম। নাঈম হাসান ও আবু জায়েদ রাহী ৪টি করে উইকেট নেন। এছাড়া তাইজুলের শিকার ২ উইকেট।