বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহার এবং রুহুল কবির রিজভীর ওপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।

ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল এর নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, সহ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংগঠনের শফিউল বারী বাবু বলেন, দেশের বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতর মধ্য দিয়ে আমরা সময় অতিবাহিত করছি। মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। যিনি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন, সেই নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ময়দানে পরাস্ত করতে সক্ষম না হয়ে ক্ষমতাসীনরা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে, আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে যেকোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আর সেজন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকেই দায়ী হতে হবে। তাই জনগণের দাবি খালেদা জিয়াকে এখনই মুক্তি দেয়া হোক।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, এই সরকার মনে করে বাংলাদেশের মানুষের প্রাণশক্তি খালেদা জিয়া জনগণের মাঝে সক্রিয় থাকলে অপকর্ম করা যাবে না। লুটপাট করা যাবেনা। দেশকে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করা যাবে না। ভোট ডাকাতি করা যাবে না। একারণে দুটি মিথ্যা মামলার রায়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখে হত্যা চেষ্টা চলছে। এ সময় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারে প্রতি আহ্বান জানান তিনি।