×

জাতীয়

নতুন মাত্রায় অদৃশ্য ঘাতক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:২৭ এএম

অদৃশ্য ঘাতক করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল চীনে, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে, হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে যায় অন্য প্রদেশেও। দিন কয়েকের ব্যবধানে সীমান্ত ডিঙিয়ে ঢুকে পড়ে অন্যান্য দেশে। গত দেড় মাসের বেশি সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় বিশ^ব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। প্রথমদিকে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের অধিকাংশই ছিল চীনা নাগরিক। এছাড়া অন্যান্য দেশের এমন কেউ, যারা কোনো না কোনোভাবে ওই সময়ে চীন সফর করেছে, কিংবা অন্য কোনো চীনা নাগরিকের সংস্পর্শে এসেছে। প্রথমদিকে প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে ভাইরাস ছড়ানোর প্রবণতা দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে ভাইরাসটি মানুষে মানুষে ছড়াতে শুরু করে। কিন্তু সেই পরিস্থিতিও এখন বদলাতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ধারায় নতুন কোনো বদল ঘটে গেছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা। কেননা, এ ভাইরাসে এখন এমন লোকও আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন যারা জীবনে কখনো চীনে যাননি, কিংবা চীনা কোনো লোকের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের মেলামেশার ঘটনাও ঘটেনি। চীনের মূল ভূখণ্ডের আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৬ হাজার (৭৬,২২৮ জন)। মারা গেছেন দুই হাজারেরও বেশি। চীনের বাইরে ২৬ দেশে ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মারা গেছেন ১৫ জন। হংকং, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও জাপানে আক্রান্ত শতাধিক লোকের মধ্যে কয়েকজন মারা গেছেন। জাপানে বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৬ জন। সব মিলিয়ে বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনার আক্রমণে মৃতের সংখ্যা এখন ২ হাজার ৩৬০ জন, যার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি মৃত্যুই ঘটেছে চীনে, বিশেষত সেখানকার হুবেই প্রদেশে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি এবং ইরানসহ অন্যান্য দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে। ইরানে শিয়া মুসলিমদের জনপ্রিয় এলাকা পবিত্র কওম শহরে দুজন কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সেখান থেকে মানুষের চলাচলের মধ্য দিয়ে ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে তেহরান, বাবোল, আরাক, ইস্পাহান ও অন্যান্য শহরে। এতে ওই দেশটিতে আক্রান্ত রয়েছেন আরো ১৯ জন। লেবাননে ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আক্রান্তের আরো খবর মিলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরায়েল ও মিসরেও। কানাডায় যে ৯ ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন কিছুদিন আগে কোম শহর থেকে সেখানে গেছেন। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বন্যপ্রাণী, কিংবা চীন, কিংবা এ

জাতীয় কোনো সুনিশ্চিত যোগসূত্র খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হুর প্রধান ডা. টেডরস আধানম গেব্রেয়াসাস বলেছেন, ভাইরাসটিকে ঠেকানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে। যদি আমরা ঠিকভাবে কাজ করি তাহলে গুরুতর সংকট এড়াতে পারব। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করলে আমাদের সামনে রয়েছে ভয়াবহ বিপদ! গতকাল শনিবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মৃতের সংখ্যা কমছে। গত শুক্রবার সেখানে নতুন আক্রান্ত হন ৩৯৭ জন, আগের দিনও যে সংখ্যাটি ছিল ৮৮৯। অন্যদিকে এ সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা গেছেন দুই জন। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে নতুন করে ১৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৬। ইতালির চিকিৎসকরা গত শুক্রবার জানান, সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সেখানে ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাস থেকে উদ্ভ‚ত কভিড-১৯ রোগে। আক্রান্ত এলাকায় স্কুল এবং অফিস বন্ধ রাখা হচ্ছে। খেলাধুলার সব কর্মকাণ্ড বাতিল করা হয়েছে। ডা. টেডরস বলছেন, চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ‘কম’ কিন্তু সংক্রমণের ধরন উদ্বেগজনক। এসব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মৃত্যুর ঘটনা ‘খুবই উদ্বেগজনক’, বলেন তিনি। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়ানোর পরপরই সেখানে ‘গণস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ জারি করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিউন। বিশেষ পর্যবেক্ষণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের দায়েগু এবং চেংডু শহর দুটিকে। রাজধানী সিউলে সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সবগুলো সামরিক ঘাঁটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেনাবাহিনীর তিন সদস্য এতে আক্রান্ত হওয়ার পর। সংক্রমণের সম্ভাব্য ‘হটবেড’ হিসেবে শনাক্তের পর একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর ৯ হাজার সদস্যকে নিজ উদ্যোগে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কার কারণ, চেংডু একটি চার্চের চার শতাধিক সদস্যের মধ্যে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ পাওয়া যায়। এদিকে চীনের কারাগারে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে নারীদের একটি কারাগারে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০ জন। ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালেও।

জাতীয় কোনো সুনিশ্চিত যোগসূত্র খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হুর প্রধান ডা. টেডরস আধানম গেব্রেয়াসাস বলেছেন, ভাইরাসটিকে ঠেকানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসছে। যদি আমরা ঠিকভাবে কাজ করি তাহলে গুরুতর সংকট এড়াতে পারব। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করলে আমাদের সামনে রয়েছে ভয়াবহ বিপদ! গতকাল শনিবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মৃতের সংখ্যা কমছে। গত শুক্রবার সেখানে নতুন আক্রান্ত হন ৩৯৭ জন, আগের দিনও যে সংখ্যাটি ছিল ৮৮৯। অন্যদিকে এ সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা গেছেন দুই জন। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে নতুন করে ১৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৬। ইতালির চিকিৎসকরা গত শুক্রবার জানান, সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সেখানে ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাস থেকে উদ্ভ‚ত কভিড-১৯ রোগে। আক্রান্ত এলাকায় স্কুল এবং অফিস বন্ধ রাখা হচ্ছে। খেলাধুলার সব কর্মকাণ্ড বাতিল করা হয়েছে। ডা. টেডরস বলছেন, চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ‘কম’ কিন্তু সংক্রমণের ধরন উদ্বেগজনক। এসব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মৃত্যুর ঘটনা ‘খুবই উদ্বেগজনক’, বলেন তিনি। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়ানোর পরপরই সেখানে ‘গণস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ জারি করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিউন। বিশেষ পর্যবেক্ষণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের দায়েগু এবং চেংডু শহর দুটিকে। রাজধানী সিউলে সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সবগুলো সামরিক ঘাঁটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেনাবাহিনীর তিন সদস্য এতে আক্রান্ত হওয়ার পর। সংক্রমণের সম্ভাব্য ‘হটবেড’ হিসেবে শনাক্তের পর একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর ৯ হাজার সদস্যকে নিজ উদ্যোগে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কার কারণ, চেংডু একটি চার্চের চার শতাধিক সদস্যের মধ্যে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ পাওয়া যায়। এদিকে চীনের কারাগারে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে নারীদের একটি কারাগারে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬০ জন। ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালেও।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App