×

সারাদেশ

নদী গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হবে ভূমি

Icon

nakib

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০১:৩৮ পিএম

নদী গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হবে ভূমি

ফসলি কৃষি জমি রক্ষায় নদী শাসন

রংপুরের ৪টি উপজেলার বিভিন্ন নদীর ভাঙন থেকে ফসলি কৃষি জমি রক্ষার লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নদী গর্ভ থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে। যা ফসল চাষের মাধ্যমে এলাকার অর্থনৈতিক কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। জেলা ও উপজেলা সদরের জনসাধারণের চলাচলেও স্বাচ্ছন্দ ফিরবে।

কর্মসূচির আওতায় জেলার, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ এবং রংপুর সদর উপজেলায় যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর সংরক্ষণ ও নদী পুনঃখনন করা হবে। এতে বছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর উর্বর ফসলি কৃষি জমি নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

এছাড়া প্রায় ৫৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার অব কাঠামো যেমন- স্কুল, কলেজ, বাজার, হাট, ব্রিজ এবং সড়ক রক্ষা পাবে। একই সঙ্গে প্রকল্প এলাকায় বসবাসরত দুস্থ পরিবারগুলোর সামাজিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করা হবে। এজন্য পরিকল্পনা কমিশনে ‘রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলায় যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী পুনঃখনন’ প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে।

পাউবো সূত্রমতে, প্রকল্প এলাকার যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর বরাবর পাঁচ হাজার ৬৫০ মিটার (প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার) এলাকার নদী ভাঙন স্থায়ী ভাবে প্রতিরোধ সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ঘন মিটার ডুবো চর অপসারণের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে কৃষি জমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার মাধ্যমে কৃষি, উন্নয়ন বৃদ্ধি করাসহ স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।

রংপুর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুবের রহমান বলেন, নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী খননে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। এসব কাজের জন্য মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে রংপুরে নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প।

মাহাবুবের রহমান জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে। সেই সঙ্গে এসব এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরো জানান, আমরা রংপুর জেলার মিঠাপুকুর,পীরগঞ্জ, পিরগাছা ও রংপুর সদর মিলে একটি ডিবিপি প্রণয়ন করা হয়। এই ডিবিপির আওতায় প্রথম কাজ শুরু হয়। মোট ৭২টা পয়েন্টে কাজ চলমান এবং ড্রেজিং কাজের অগ্রগতি প্রায় শতকরা ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ। আর যেসব নদী শাসন কাজ চলছে সি ব্লক দিয়ে এটার প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আশা করেন আগামি অর্থবছরে এসব কাজ শতভাগ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App