সরকার ভয়ে আছে : খসরু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৪৩ পিএম
আমির খসরু মাহমুদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকারের ভয়ের কারণে আমাদের মাঝেও ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এই ভয়’কে ভয় হিসেবে মেনে নেয়ার কারণে শক্তিশালী অবস্থানে থেকেও প্রতিবাদ করতে পারছি না। আমাদের ভয়’কে জয় করতে হবে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন' আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, দেশনেত্রীকে মুক্তি আজকে বড় ধরণের প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক যেখানেই যাবেন নেত্রী কবে মুক্তি পাবেন এই কথাটা আমাদের দৈনন্দিন সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইনের শাসন শুধু নয়, তাদের (সরকার) মধ্যে যে ভয় কাজ করছে, সেই ভয়ের কারণে খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে এবং রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের ভয়-ভীতির প্রতিফলন ঘটছে।
খালেদার জামিন প্রসঙ্গে খসরু বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের জামিন হবে, কি হবে না, সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এটা দেশের বিদ্যমান আইন হিসেবে তার জামিন হওয়ার কথা। সেটাও বাদ দিলাম, তার যে বয়স, স্বাস্থ্য ও যে অবস্থায় তিনি আছেন এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, সে কারণেও জামিন দেয়ার কথা। এটাও দেশের আইন। কিন্তু সেখানেও খালেদার জামিন হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকারে প্রথম পদক্ষেপ ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া। এরপর তাকে যদি ক্ষমতায় থাকতে হয় একটার পর কেড়ে নিতেই হবে। এটাই নিয়ম। ক্ষমতায় থাকতে হলে তাদের অব্যাহতভাবে এ কাজগুলো করতে হবে এবং দিনের পর দিন এ কাজগুলো খারাপের দিকে যাবে। সেটাই তারা করছে। তারা আপনাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, বিএনপির ভোটাধিকার কেড়ে নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আজকে খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হয়েছে তাদের ভয়ের কারণে। কারণ, তিনি বাহিরে থাকলে তাদের বিপদ। রাজনীতিকভাবে তাদের পরাজিত হতে হবে। ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের সাথে সমমান রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের তরুণ জেনারেশনের মধ্যে নাই। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পরিবারেও নাই। সুতরাং মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের বাহিরে রাখতে হবে তাকে। এখানেই শেষ নয়, ভয়-ভীতির কারণে তারা গুম, খুন করছে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতায় থাকার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ মাইনুল ইসলাম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন,সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেত্রী আরিফা সুলতানা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।