×

সাহিত্য

পৃথিবীর অর্ধেক নারীকে অবহেলা নয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৪১ পিএম

পৃথিবীর অর্ধেক নারীকে অবহেলা নয়

গুলতেকিন খান

বেশ ভালোই লাগছিল এবারের বইমেলা। চরিদিকে কেবল বঙ্গবন্ধুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা, জাতির স্রষ্টা হিসেবে তাঁর এই সম্মান প্রাপ্ত। এজন্য বাংলা একডেমিকে ধন্যবাদ। বইমেলা প্রসঙ্গে ভোরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে রবিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) গুলতেকিন খান এভাবেই তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

গুলতেকিন বলেন,দাদার প্রেরণাতেই আমার কবিতা লেখায় হাতেখড়ি হয়েছিল। এরপর বন্ধুদের অনুপ্রেরণায়। ওরা বেশিরভাগই স্কুলের বন্ধু। যারা পত্রপত্রিকায় আমার লেখা দেখেছে আগে, সবকিছু মিলিয়ে ভালো লাগছে।

এ বছর লেখালেখি তেমন করতে পারিনি। এ বছর ২৪ দেশের ২৪ নারীর ২৪টি কবিতা অনুবাদ করেছি। এসব কবিতা খুবই স্ট্রং। ইচ্ছে করেই নারীর কবিতা করেছি। নাম রেখেছি ‘চল বিশাখা বিষুব ছেড়ে’। কে কিনল, না কিনল সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। কাজ করে রেখে যেতে চাই। দেখা যাক, পাঠক কীভাবে নেন। ইতিবাচক বা নেতিবাচক সব মন্তব্যই আমার কাছে অনুপ্রেরণা হবে। আরেকটা বিষয় আমাদের পৃথিবীর অর্ধেক অংশই তো নারী, তাই নারীকে অবহেলা নয়, বৈষম্য করাও চলবে না।

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আমার লেখা একটি ছড়া দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়। তখন স্কুলে পড়ি। সে সময় থেকেই ছড়া লিখতাম। ’৭৩ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত দৈনিক বাংলার বাণী, পূর্বদেশ ও ইত্তেফাকে আমার অনেক ছড়া ছাপা হয়েছিল। দাদা প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর অনুপ্রেরণায় আমি ও আমার অন্যান্য ভাইবোন লেখালেখির চর্চা করতাম।

তিনি বলেন, একটা সময় লিখতাম। দেশের বাইরে অনেকদিন ছিলাম। তখন লেখালেখিটা ওভাবে হয়নি। মাঝখানে পড়াশোনাও হয়নি অনেক দিন। পরে পড়াশোনাতে ফিরে এসেছি। হয়তো তেমনভাবে কোনো অনুপ্রেরণা পাইনি বা কেউ আমাকে বলেনি যে আবার লেখো। ওরকম করে কেউ বলেনি। দাদাও চলে গেছেন হয়তো উনি থাকলে উনিই বলতেন।

নতুন জীবন কেমন কেমন চলছে? এর জবাবে গুলতেকিন বলেন, নতুন জীবন এবং লেখালেখি ভালোই চলছে। আমি লিখে যাচ্ছি, সেটা আমার নিজের মতো। তবে নিজেকে কবি বলার স্পর্ধা আমার নেই। লেখালেখির মধ্যেই থাকব।

কাদের লেখা আপনি পছন্দ? তিনি বলেন, বাইরের কবিদের মধ্যে টিএস এলিয়টের কবিতা পছন্দ করি। অডেনের কবিতা পছন্দ করি। দেশে শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, বিনয় মজুমদার ও জয় গোস্বামীর কবিতা পছন্দ করি।

নিজের লেখা সম্পর্কে বলুন? নিজের লেখা তো সবসময়ই ভালো লাগে। যখন যা ভালো লাগে সেই মুহুর্ত থেকে লিখেছি। আমি মনে করি প্রত্যেক কবিরই নিজস্ব পৃথিবী থাকে, নিজস্ব ভুবন থাকে। সেই ভুবনে যদি অন্য কেউ প্রবেশ করতে না পারে। তাহলে কবি হিসেবে আমি ব্যর্থ হবো। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে লেখক হিসেবে আমি স্বার্থক।

কবি গুলতেকিন বলেন, আমি ছন্দ ভালোবাসি। সবকিছুর মধ্যেই ছন্দ আছে। আমি মনে করি, সবকিছুর মধ্যে ছন্দ থাকা উচিত। সেটি সাহিত্যের সব ক্ষেত্রে যেমন থাকা উচিত, জীবনের ক্ষেত্রে তো বটেই। সবকিছু মিলিয়ে আমার কবিতায় আমি ছন্দকে গুরুত্ব দিয়েছি।

মনের আনন্দের জন্য কি করেন? এর জবাবে গুলতেকিন বলেন, জীবনকে আমি অনেক ইতিবাচকভাবেই দেখি। কবিতা লিখি, কবিতার বই পড়ি। গল্পের বই পড়ি। গান শুনতে খুব পছন্দ করি। অনেকের গান পছন্দ করি। এতো মানুষের গান পছন্দ করি যে বলা মুশকিল। আমি ইংরেজী গান যেমন পছন্দ করি, বাংলা গানও তেমন পছন্দ করি। রবীন্দ্র সংগীত যেমন পছন্দ করি নজরুল গীতিও তেমন পছন্দ করি। এতো মিক্সড গান শুনিয়ে যে এর মধ্য থেকে কোনো একজনের নাম আলাদা করে বলা যাবে না। যেমন টেলার সুইফটের একটা গান আমার খুব পছন্দ কিংবা এডেলের একটা নতুন গান পছন্দ। আর রবীন্দ্র সংগীত তো সময়ই ভালো লাগে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App