×

জাতীয়

দ্বিগুণ হচ্ছে পানির দাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:০৪ এএম

দ্বিগুণ হচ্ছে পানির দাম

ঢাকায় পানির দাম প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে ঢাকার ওয়াসার এমন প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। তাদের মতে, এমনিতেই বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যখন বাড়তি, তখন পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেরই স্বাভাবিক জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। যদিও কারো কারো অভিযোগ, নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় সম্পূর্ণ নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি দিতে পারছে না সংস্থাটি। অন্যদিকে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এক বছরের বেশি সময় আগে। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে সংস্থাটির প্রধান বলছেন, বিকল্প সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ বিলসহ নানা ক্ষেত্রে পানির উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।

আবাসিক সংযোগে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির বর্তমান দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা, আর বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগে প্রতি হাজার লিটার পানির বর্তমান দাম ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৫ টাকা করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। সংস্থাটির এমন প্রস্তাব মানতে নারাজ নগরবাসী। তাদের মতে, পুরোপুরি সেবা নিশ্চিত না করতে পারার ব্যর্থতা সত্ত্বেও পানির দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির মতে, পরিচালন ব্যয়, ঘাটতি এবং ঋণ পরিশোধের অজুহাতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে ঢাকা ওয়াসার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পানির দাম বাড়ানোর উদ্যোগ অযৌক্তিক; গ্রাহকের ওপর নির্যাতনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য।

রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই ওয়াসার পানি নিয়ে আমাদের নানা অভিযোগ আছে। অনেক স্থানেই ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ আছে। কিছু কিছু সময় পানি সরবরাহের ক্ষেত্রেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক এলাকায় স্যুয়ারেজের লাইন ঠিক নেই। বারবার অভিযোগ দিয়েও কাজ হয় না। নোংরা পানি মাড়িয়ে পথ চলতে হয়। এরপরও সেবার মান না বাড়িয়ে পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তারা কিভাবে দেয়? ওয়াসা যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে তাহলে আমাদের ওপর জুলুম ছাড়া আর কিছু হবে না। তাই সংস্থাটির এ অযৌক্তিক প্রস্তাব আমরা মেনে নেব না।

খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, এমনিতেই প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। প্রতি বছরের শুরুতে বাড়িওয়ালাদের বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর নোটিস। বছরে বছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাদে। সেই হিসেবে আমাদের আয় যা, তাই-ই আছে। তারওপর ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলে আমাদের ওপর আরো বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ পানির দাম বাড়লেই বাজারে। অন্য জিনিসের ওপর এর প্রভাব পড়বে। ফলে আমরা যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ, আমাদের কথা বিবেচনা করে হলেও পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে ওয়াসাকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়ার মতে, ওয়াসার পানির দাম বাড়লেই, কদিন পর আবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়বে। আগে তো গ্যাস ও পানির বিল বাড়িওয়ালা পরিশোধ করত। এখন সেটা আমরা যারা ভাড়া থাকি, তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এখন ভাড়াটিয়াদের পরিশোধ করতে হয়। পানির দাম বাড়লে আমরা আরো কষ্টে পড়ে যাব। ওয়াসাকে এই মুহূর্তে দাম না বাড়াতেও অনুরোধ এই বাসিন্দার। তিনি আরো বলেন, আমরা ওয়াসাকে যে বিল দিয়ে আসছি বা ওয়াসার যে আয়, তা যদি সঠিকভাবে ব্যয় করা হয় আমার বিশ্বাস সংস্থাটির আর্থিক সংকট থাকবে না।

এদিকে পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি একটি বিবৃতি দিয়েছে টিআইব। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট পানির দাম ১১ দশমিক ৫৭ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বাণিজ্যিক পর্যায়ে ৩৭ দশমিক ০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ওয়াসা আইন ১৯৯৬ অনুযায়ী, বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর বিধানের সঙ্গে এ প্রস্তাব সাংঘর্ষিক। আইন বহির্ভুতভাবে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন।

অন্য জিনিসের ওপর এর প্রভাব পড়বে। ফলে আমরা যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ, আমাদের কথা বিবেচনা করে হলেও পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে ওয়াসাকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়ার মতে, ওয়াসার পানির দাম বাড়লেই, কদিন পর আবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়বে। আগে তো গ্যাস ও পানির বিল বাড়িওয়ালা পরিশোধ করত। এখন সেটা আমরা যারা ভাড়া থাকি, তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এখন ভাড়াটিয়াদের পরিশোধ করতে হয়। পানির দাম বাড়লে আমরা আরো কষ্টে পড়ে যাব। ওয়াসাকে এই মুহূর্তে দাম না বাড়াতেও অনুরোধ এই বাসিন্দার। তিনি আরো বলেন, আমরা ওয়াসাকে যে বিল দিয়ে আসছি বা ওয়াসার যে আয়, তা যদি সঠিকভাবে ব্যয় করা হয় আমার বিশ্বাস সংস্থাটির আর্থিক সংকট থাকবে না।

এদিকে পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি একটি বিবৃতি দিয়েছে টিআইব। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট পানির দাম ১১ দশমিক ৫৭ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বাণিজ্যিক পর্যায়ে ৩৭ দশমিক ০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ওয়াসা আইন ১৯৯৬ অনুযায়ী, বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর বিধানের সঙ্গে এ প্রস্তাব সাংঘর্ষিক।

আইন বহির্ভুতভাবে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App