×

মুক্তচিন্তা

অপ্রতিরোধ্য পিতৃতান্ত্রিকতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৫ পিএম

দেশজুড়ে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শিশুধর্ষণ। মেয়েদের জন্য নিরাপত্তা ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ, প্রেমের অভিনয়, চাকরির প্রতিশ্রুতি, বিয়ের প্রলোভন, মাদক খাওয়ানো সবকিছু ব্যবহৃত হচ্ছে। ওয়ারী এলাকার আট বছরের ওই মেয়েটির কথা ভাবলে আতঙ্কের অবধি থাকে না। ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকে। জায়গা নেই খেলবার। তারই বয়সের একটি শিশুর সঙ্গে খেলতে গেয়েছিল ও-বাড়িরই আরেক ফ্ল্যাটে। সঙ্গীটিকে সে পায়নি, কিন্তু চাচা বলে কথিত একজনকে পেয়েছে। সেই চাচা এই শিশুটিকে খেলার প্রলোভন দেখিয়ে ছাদে নিয়ে গেছে, তারপর উদ্যত হয়েছে ধর্ষণে। শিশুটি চিৎকার করে উঠলে ধর্ষণ কর্ম শেষে তাকে গলা টিপে হত্যা করে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ রকম ঘটনা কিন্তু হামেশাই ঘটছে এবং এটাই হচ্ছে বর্তমান সময়ের বাস্তবতা। ধর্ষণের এসব ঘটনা এবং আরো যেসব অপরাধের কথা আমরা জানি, এখানে কিছু কিছু উল্লেখও করলাম, অন্যত্রও আমরা আলোচনা করে থাকি, সেগুলো মনে হবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু আসলে তা নয়, সেগুলো সবই একটি ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত। সেটি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক। ব্যবস্থাটি অন্যকিছু নয়, পুঁজিবাদ ভিন্ন। পুঁজিবাদ অনিবার্য ও অসংশোধনীয় রূপে পিতৃতান্ত্রিক। বাংলাদেশও ওই পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনেই রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে অনেক ক’টি কাগজে এ মর্মে খবর বের হয়েছে যে পাবনা অঞ্চলের একটি কলেজের শহীদ মিনারটি ভেঙে স্থানীয় এমপি সাহেব তার পিতার ম্যুরাল বানিয়েছেন। পিতৃভক্তিপ্রসূত এ রকমের কাজ মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। মাতা? জননী? তিনি যতই যা হোন পিতার পত্নী বৈ নন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে পিতৃতান্ত্রিক পুরুষের হাতে নারী নির্যাতন। বাংলাদেশের মেয়েরা আজ আর আগের অবস্থানে নেই। তারা দৃঢ় পদে পোশাক কারখানায় যায়, পথে-ঘাটে হাঁটে। সাইকেল চালায়, মোটরসাইকেলও চালায়। উড়োজাহাজও চালাচ্ছে। রাইড শেয়ারে যাতায়াত করে। কিন্তু তারা মোটেই নিরাপদে নেই। তাদের বোরখা ও হিজাব বিজয়ের পতাকা নয়, আত্মসমর্পণের ঘোষণা বটে। আত্মসমর্পণ করে যে রক্ষা পাবে তাও হচ্ছে না। ভরসার ব্যাপার এটা যে তারা দমে যায়নি। একই দিনে দুটি ছবি ছাপা হয়েছে দুটি দৈনিকে। একটি ছবির পরিচয় : ‘নারায়ণগঞ্জের উত্তর চাষাঢ়া এলাকায় রাবেয়া ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ছাত্রীরা দেয়াল ধরে রাস্তা পার হচ্ছে।’ যেন মরণপণ। তিন বছর ধরে নাকি ওই রাস্তায় পানি জমে আছে। সরেনি। তাই বলে মেয়েরা যে হাল ছেড়েছে তা নয়। ওই তিন বছর ধরেই তারা ওইভাবে দেয়াল ধরে ঝুলতে ঝুলতে স্কুলে যাতায়াত করছে। আরেকটি ছবি মেয়েদের একটি মানববন্ধনের। তারা যে ব্যানারটি ধরে দাঁড়িয়ে আছে তাতে লেখা, ‘ভাণ্ডারিয়া সরকারি বন্দর গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী আমার বন্ধু, আমার বোন বিনয়ী, সদালাপী রুবাইয়া রূপার উত্ত্যক্তকারী সন্ত্রাসী তামিম খান গংয়ের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন।’ নিচে আরো আছে, ‘আমার বন্ধু, আমার বোন মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই।’ একই দিনে প্রায় সব পত্রিকাতেই অন্য একটি খবর বের হয়েছে, সেটিও আশা জাগায়। উত্ত্যক্তকারী এক মাতাল পুলিশকে একটি মেয়ে পায়ের স্যান্ডেল খুলে পিটিয়েছে। তার পরে অন্য মেয়েরা একত্র হয়ে পুলিশটিকে গণধোলাই দিয়েছে। শেষে পুলিশ বাহিনী এসে নিজেদের এই সহকর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। অনেকেই আছেন যারা ব্যবস্থাটাকে জানতে-বুঝতে চান না। বলেন হ্যাঁ সবই দেখি, সবকিছুই শুনি, কিন্তু কেন যে ঘটছে বুঝি না। বলেন জানি না এসবের কারণ কী। এই বুঝতে না পারাটা কিন্তু মোটেই গৌরবের কোনো ব্যাপার নয়। গত শতাব্দীতে দেখেছি, উদারনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ বলেছেন, না, আমি বুঝি না কেন এসব ঘটছে। এখনো অমন কথা শুনতে হয়। ধরা যাক ঔপন্যাসিক ও বুদ্ধিজীবী ই এম ফরস্টারের কথা। এর উপন্যাস এ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়ার বিষয়ে আমরা অনেকেই জানি। সেটি তিনি লিখেছেন ১৯২৪ সালে, তারপরে বেঁচেছিলেন আরো ৪৬ বছর, মারা যান ১৯৭০-এ। কিন্তু আর কোনো উপন্যাস তিনি লিখতে পারলেন না। প্রবন্ধ লিখলেন, বক্তৃতা করলেন, ‘স্যার’ উপাধি প্রদানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন, কিন্তু উপন্যাস লেখা ১৯২৪-এ শেষ। কারণ কী? কারণ হলো পরিবর্তিত পুঁজিবাদী বিশ্বকে উপন্যাসের ভেতরে নিয়ে আসার অক্ষমতা। তিনি বুঝেছেন পৃথিবীটা বদলে গেছে এবং তিনি বদলে যাওয়া পৃথিবীর মোকাবিলা করতে পারছেন না। করবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার নিজেরই উদার নীতি। তিনি বলেছেন যে ভিক্টোরীয় যুগের শেষ প্রান্তে না জন্মে যদি জন্ম নিতেন কিছু পরে তাহলে নির্ঘাত কমিউনিস্ট হয়ে যেতেন, কিন্তু সময়ের বেষ্টনীর কারণে ওই সাহসটা তার হয়নি। সে জন্য তাকে বারবার বলতে হয়েছে, আমি তো বুঝতে পারছি না কী ঘটছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শুরু হয়ে গেছে দেশপ্রেমিকরা তখন বিকট আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘ন্যায়-অন্যায় বুঝি না, আমার দেশ সে আমারই দেশ’; তারই মধ্যে ফরস্টারের বুকে এমন সাহস ছিল যে লিখেছিলেন কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তুমি তোমার দেশের নাকি তোমার বন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তাহলে আমি বলব আমি বরং দেশ ছাড়ব কিন্তু আমার বন্ধুকে ছাড়ব না। তার উদার নীতি তাকে বলত ব্যক্তিগত সম্পর্কই হচ্ছে মানুষের শেষ ভরসা। এবং যে ক’টি উপন্যাস তিনি লিখেছেন সবক’টিই ওই ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করেই লেখা। ব্যক্তিগত সম্পর্কের, বিশেষ করে বন্ধুত্বের মানবিকতায় তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু পুঁজিবাদী ব্যবস্থা তো মনে করে না যে ব্যক্তিগত সম্পর্কেই মানুষের মনুষ্যত্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও মহত্তম প্রকাশ, মানতে চায় না যে মানুষ মানবিক সম্পর্কের কারণেই মানুষ থাকে। আর সেটা মানে না বলেই তো বন্ধু বন্ধুকে বাঁচাতে পারে না; উল্টো দেখা যায় বন্ধু শত্রু হয়ে পড়েছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো ভেঙে ভেঙে পড়ছে; আসছে ঈর্ষা, প্রতিযোগিতা, স্বার্থপরায়ণতা। আর রয়েছে অর্থনৈতিক নিষ্পেষণ। ফরস্টার যে ভারতবর্ষকে নিয়ে তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাসটি লিখেছেন সেখানে ওই সমাজে গরিব মানুষের হালটা যে কী ছিল সে বিষয়ে প্রায় কোনো উল্লেখই নেই। গরিব যে মানুষ আছে তার একটু আভাস আছে মাত্র। সুন্দরভাবে তিনি স্বীকার করেছেন যে অতিদরিদ্রদের নিয়ে তিনি লিখতে পারেননি। সীমাটা, আবারো বলি, উদার নীতিরই। উদার নীতি পুঁজিবাদের সমালোচনা করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে মেনে নেয়। ফরস্টারের সেই ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষ এখন আর নেই। উপমহাদেশ স্বাধীন হয়েছে, অনেকে অনেক উন্নতি করেছে। কিন্তু গরিব মানুষ কেমন আছে? আমাদের এই বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক না কেন। যারা এর উন্নতির জয়গান একটানা গাইতে থাকেন তারা মনে হয় ভিক্ষুক, প্রায়-ভিক্ষুক, বেকার, অর্ধ-বেকার, সম্বলহীন বৃদ্ধ মানুষদের বিশেষ করে বৃদ্ধাদের দেখেন না; দেখলেও দেখতে চান না। চোখ ফিরিয়ে নেন। কেবল হতদরিদ্ররা নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরাও মস্ত মস্ত ঝুঁকির মধ্যে আছেন। বাঁচার পথ সবার জন্য সংকীর্ণ হয়ে এসেছে, নইলে আত্মহত্যার ঘটনা এভাবে বাড়বে কেন? গেল বছর নাকি প্রতিদিন গড়ে ৩২ জন মানুষ আত্মহনন করেছেন। সবাই আত্মহত্যা করেন না, অনেকেই প্রান্তে পৌঁছে ঝুলে থাকেন। বাড়ে হতাশা, বাড়তে থাকে কথিত অপরাধপ্রবণতা এবং নানা রকমের মাদকে আসক্তি। এ রকমের ঘটনা তো প্রায়ই ঘটছে, যার কথা কিছুদিন আগে কাগজেই পড়েছি। তিনজনের এক পরিবার; মা, মেয়ে ও ছেলে; ঢাকা শহরে তিনজন মিলে একটি ভাড়া করা বাসাতে বসবাসরত অবস্থায় আত্মহত্যা করেছেন। ছেলে মুহিত হাসান (২৮) একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করেছে, বিসিএস প্রিলিমিনারি দিয়েছে সে, ফল প্রকাশের অপেক্ষায় ছিল। তার বোনটি শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা সরকারি চাকরি করতেন। তিন বছর হলো তিনি মারা গেছেন। কিছু সম্পত্তি রেখে গেছেন, কিন্তু তার সবটাই চলে গেছে আত্মীয়দের দখলে। আত্মহননকারী ওই তিনজনের ঘরে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে; তাতে লেখা, ‘আত্মীয়-স্বজনের অবহেলায় আত্মহত্যা করলাম। সম্পত্তি গরিবদের বিলি করে দেবেন।’ নিশ্চয়ই তারা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ভরসা পাননি। কোনো দিকে কোনো উপায় দেখেননি বাঁচার। তাই ঠিক করেছেন মরে গিয়ে বেঁচে যাবেন। নিজেদের হত্যা করার আগে নিজেদের মধ্যে তারা কী আলাপ করেছেন আমরা জানি না, কল্পনা করতেও পারি না, আমাদের কল্পনা শক্তি এতটা ক্ষমতা রাখে না, সাহসও রাখে না; রাখলে আমরা অস্থির হয়ে পড়তাম। বেদনায়, সহানুভ‚তিতে। আমরাও কি বেঁচে আছি, নাকি টিকেই আছি শুধু? বাধা দিতে গেলে প্রাণ যায়, আর পাবলিক যদি একবার পাকড়াও করতে পারে তবে ছাড়ে না, প্রাণ কেড়ে নেয়। মিডিয়া বলছে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে পঞ্চাশের অধিক ব্যক্তি গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে মিথ্যা গুজবে নিষ্ঠুর হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। কিছুদিন আগে ঢাকা শহরের বাড্ডা এলাকায় তসলিমা বেগম রেণু নামে এক মা তার ছোট্ট মেয়েটিকে ঘরে রেখে কোন স্কুলে তাকে ভর্তি করা যায় সেটা খুঁজতে বের হয়েছিলেন; এক স্কুলে অপেক্ষমাণ মায়েদের মধ্যে কে একজনের সন্দেহ হয়েছে মহিলা বুঝি ছেলেধরা, অমনি মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে খবর এবং মহিলাটিকে মেরেই ফেলা হয়েছে, গণপিটুনিতে। আসলে কারো প্রতি কারো আস্থা নেই, সবাই সবাইকে শত্রু ভাবে। নরক যদি কোথাও থাকে তবে সেটা থাকে এই রকমের আস্থাহীনতা, শত্রু তা ও পরস্পর বিচ্ছিন্নতার ভেতরেই। আমরা ওই রকমের অবস্থার দিকেই দ্রুত ধাবিত হচ্ছি। নাকি পৌঁছে গেছি ইতোমধ্যে? বিচার পাবে কি সেই মেয়েটি, সনজীদা ইয়াসমিন সাধনা নাম, শেরপুরের বাসিন্দা, যার ওপরে তার অফিসের বড় সাহেব চড়াও হয়েছিলেন? মেয়েটি পিয়নের চাকরি করে, ডিসি সাহেব তাকে তার অফিসে চাকরি দিয়েছিলেন; মেয়েটি ভেবেছিল তিনি দয়ার সাগর। পরে দেখেছে ভয়ঙ্কর মূর্তি ওই কর্তার। ডিসি অফিসের খাস কামরাতেই ডিসি সাহেব সাধনার ওপর চড়াও হয়েছেন। সেই ছবি ছড়িয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে। ডিসি ধরা পড়েছেন। তার শাস্তি হবে। কী শাস্তি? চরম শাস্তিও যদি হয় তাহলে বড়জোর পদচ্যুতি। আর মেয়েটির? একদিন অনুপস্থিত থেকে মেয়েটি অফিসে এসেছিলেন। সাংবাদিকরা তক্কে তক্কে ছিলেন, একেবারে ছেঁকে ধরেছেন। পত্রিকার রিপোর্টে পড়েছিলাম, ‘কাকুতি ভরা কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার বাঁচার কোনো ইচ্ছা নেই। আমার একটি এতিম সন্তান রয়েছে, আমার মুখের দিকে না তাকিয়ে আমাকে এভাবে ধিক্কার না দিয়ে আমার এতিম সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে বাঁচার ব্যবস্থা করে দেন।’ ওদিকে ডিসি অফিসের সব কর্মচারী একত্র হয়ে ভারপ্রাপ্ত ডিসির কাছে গিয়ে বলেছেন, ওই নারী কাজে যোগ দিলে তারা কাজ করবেন না। মহিলা তখন ওয়েটিং রুমে অপেক্ষায় ছিলেন; কথাবার্তা সব শুনেছেন, শুনে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। পরে সহকর্মীদের সহায়তায় জ্ঞান ফিরে পেলে তিন দিনের ছুটির দরখাস্ত জমা দিয়ে তিনি অফিস ত্যাগ করেন। বোঝাই যাচ্ছে তার চাকরি তো শেষই, জীবনও সম্ভবত শেষ। অপরাধ কার, কে শাস্তি পায়। শাবাশ বাংলাদেশ! সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App