রোকেয়া প্রাচী
এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করাই যৌক্তিক হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা। চলছে মুজিববর্ষের নানা আয়োজন, ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত। সারা বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রচনা, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সহ আরও কতো কি! এই বই মেলার আয়োজনেও বঙ্গবন্ধু নামটি প্রিয় প্রসঙ্গ। তাই ভাষার মাসের ঐতিহাসিক বই মেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা খুব অসাধারণ কাজ হয়েছে।
বইমেলা প্রসঙ্গে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পী রোকেয়া প্রাচী এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রাচী আরো বলেন, বাঙালি জাতির অস্তিত্বের লড়াই, আত্মোপলব্ধির সূচনা, দেশাত্ববোধ, সকল অনুভব, সকল চেতনা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকেই তো পাওয়া। তিনি আমাদের মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের অনেক ঋণ, তাঁর স্মরণে, উৎসর্গে নতুন মাত্রা পেয়েছে বই মেলা।
তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন মেলায় যেতাম। এখন অল্প কয়েকদিন যাই। আগে ফেব্রুয়ারি মানে আর কোনো কাজ নাই, শুধু বইমেলা আর হাজারটা প্রোগ্রাম। এখন সময় কম পাই। তবু বইমেলায় যাইই। বেশ টানে। কম যেতে পারি বলে মিস করি মেলাকে। সম্প্রসারিত মেলা প্রসঙ্গে তরুণ এই রাজনীতিক বলেন, সম্প্রসারণের সাথে সাথে মেলায় এখন অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রকাশক বেড়েছে, পাঠক বেড়েছে, লেখক বেড়েছে। এর সাজও পাল্টেছে। আগে তো বাংলা একাডেমির মধ্যে গাদাগাদি করে মেলার আয়োজন হতো। কিন্তু এখন বিস্তৃত মাঠে স্বস্তি নিয়ে ঘুরে ঘুরে বই কেনার মজাই আলাদা। সব মিলিয়ে মেলা যেভাবে যে রূপেই হোক। যেমনই হোক মেলার ডিজাইন। বইমেলার আঙ্গিনা সবসময়ই আমার কাছে আকর্ষনীয়। এক আঙ্গিনায় নানা বয়সি মানুষের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর পরিবেশ একমাত্র বইমেলাতেই তো সম্ভব।
প্রাচী বলেন, ব্যস্ততার মাঝেও আমি বই পড়ার সময় বের করে নিই। কারণ বই পড়া আমার অভ্যাস সেই ছোটবেলা থেকেই। রাজনীতির জন্য অভিনয়ে কোনো ছন্দপতন বা ক্ষতি হয়েছে কি না এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সত্যি, ছন্দপতন বা ক্ষতি তো হচ্ছে। কিন্তু তারজন্য আফসোস নেই আমার। আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে কাজ করেছি।
আমি তো রাজনীতিকে পেশা হিসাবে নেইনি, চেতনা থেকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা। তাই বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যার কর্মী হয়ে রাজনীতি করাটা সৌভাগ্যেরই মনে করি। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কারাগারে কাটিয়েছেন, দেশের জন্য পুরো পরিবার রক্ত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পুরো পরিবারের লাশ বহন করছেন। তিনিও সব আরাম আয়েশ ত্যাগ করে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমি রোকেয়া প্রাচী সামান্য অভিনয় শিল্পীর ক্যারিয়ারই তো শুধু ক্ষতিগ্রস্ত করেছি! এ নিয়ে আমার কোনোরকম আফসোস নেই। রাজনীতি করে দেশের জন্য কিছু করতে পারলেই সার্থক ভাববো নিজেকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।