×

মুক্তচিন্তা

বাংলা ভাষার সংকট, ঘরে-বাইরে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৭:৪২ পিএম

বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হওয়ার পরও সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসেও নিশ্চিত হতে পারেনি। এর জন্য দায়ী আমাদের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা শাসকগোষ্ঠী যেমন তেমনি বিদ্যমান ব্যবস্থা। ওই দুটির পতন ছাড়া সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর যতই আওয়াজ আমরা তুলি না কেন, তাতে কাজের কাজটি যে হবে না এ বিষয়ে কোনোই সন্দেহ নেই।
বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির সর্বোত্তম স্থান রূপে আমরা পশ্চিম বাংলাকে অর্থাৎ কলকাতাকেই গণ্য করতাম। কারণটিও অপ্রাসঙ্গিক ছিল না। বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে কলকাতার অবদান অনস্বীকার্য। বাংলা সাহিত্যের সব শাখার প্রসার, ব্যাপ্তি এবং উৎকর্ষে সর্বাধিক অবদান রেখেছিলেন কলকাতার সাহিত্যিকরা। পাশাপাশি বাংলা গান, নাটক, চলচ্চিত্রসহ সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলোর উচ্চ অগ্রগামিতায় অবদান রেখেছিলেন কলকাতার বরেণ্য সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিকজনরা। সঙ্গত কারণেই বাংলাভাষীদের কাছে কলকাতাকেন্দ্রিক সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক বলয়ের প্রতি অনুরক্ত হওয়া অস্বাভাবিক কোনো বিষয় ছিল না। ঔপনিবেশিক যুগের অবসান ঘটেছিল মর্মান্তিক দেশভাগে। বাংলাভাষী দুই বাংলা দুই পৃথক রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে। পরিণতিতে আমাদের দুই বাংলার সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান প্রায় ব্যাহত হয়ে যায়। ’৪৭ পরবর্তী ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকায় কলকাতার সব প্রকাশনা, দৈনিক পত্রিকা, সাময়িকী, চলচ্চিত্র, এমনকি বোম্বে নির্মিত হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র পর্যন্ত অবাধে ঢাকায় প্রদর্শিত হতো। যুদ্ধের সময়েই সেনাশাসক আইয়ুব খান সাংস্কৃতিক বিনিময়ের উন্মুক্ত পথটি বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ আমাদের দুই বাংলার সাংস্কৃতিক যোগাযোগের পথটিতে বিভাজনের অদৃশ্য দেয়াল গড়ে দেয়। সেই অদৃশ্য দেয়ালটি এখন দিল্লির শাসকদের বদৌলতে কাঁটাতারের বেড়ায় পরিণত হয়েছে। ’৪৭-এর দেশভাগে দুই বাংলার শাসন ক্ষমতা আর বাঙালিদের হাতে থাকেনি, চলে যায় অবাঙালি শাসকদের করতলে। আমরা ২৩ বছরের অবাঙালির দুঃশাসনের বৃত্ত অতিক্রম করেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে। পেয়েছি বাঙালি জাতির পৃথক এক রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। অপরদিকে পশ্চিম বাংলার প্রাদেশিক ভাষা বাংলা হলেও রাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হচ্ছে হিন্দি এবং ঔপনিবেশিক ইংরেজি ভাষার ব্যাপক আধিপত্য রাষ্ট্রজুড়ে। সঙ্গত কারণে পশ্চিম বাংলার বাংলা ভাষার একক আধিপত্যের বিলোপ ঘটে। সেখানে হিন্দি ভাষার আগ্রাসনে বাংলা ভাষা কোণঠাসা অবস্থানে। বাংলা ভাষা আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা অথচ ভারতে আঞ্চলিক ভাষা। পশ্চিম বাংলায় বাংলা ভাষার আধিপত্য ক্ষুণœ হওয়ার কারণেই অতীতের বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির সর্বোত্তম অবস্থান হারিয়ে পশ্চিম বাংলা এখন হিন্দি, ইংরেজি ভাষার আধিপত্যে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছে। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির মান ক্রমাগত নিম্নমুখী হয়ে এখন চরম বিপদের ভেতর দিয়ে কোনোরূপ টিকে আছে। ভাষার আধিপত্য বিলোপের কারণে সাংস্কৃতিক মান ধ্বংসের মুখে। বাংলা সাহিত্য, গান, নাটক, চলচ্চিত্র সব ক্ষেত্রেই অবক্ষয় মোটা দাগে দৃশ্যমান। চলচ্চিত্রের ভাষা বাংলা মাত্র, বিষয়বস্তু, আঙ্গিক সবই বাঙালি ঘরানার বিপরীত। ভাষার আধিপত্য হারিয়ে গেলে ওই ভাষার সাংস্কৃতিক মান কতটা বিকৃত, নিম্নমুখী হতে পারে কলকাতার বাংলা সাহিত্য, চলচ্চিত্র, গান, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তার জাজ্বল্য প্রমাণ। তাই বলে বাংলাভাষী সংখ্যাধিক্যের বাংলাদেশও যে বাংলা ভাষার একক আধিপত্য বিস্তার করে আছে তা কিন্তু নয়। আমরাও ভাষার নানাবিধ সংকটের বৃত্তে জড়িয়ে রয়েছি। মাতৃভাষা পরিত্যাগের নানামুখী তৎপরতা সমাজ জীবনে মোটা দাগে দেখা যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষাক্রমে সেটা অধিক মাত্রায় চোখে পড়ে। আমাদের শিক্ষাক্রম তিন পৃথক ভাষায় বিদ্যমান। সমাজের উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা এক প্রকার ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঔপনিবেশিক ইংরেজি ভাষানির্ভর শিক্ষাক্রমে। অপরদিকে প্রান্তিক-হতদরিদ্র শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দেশজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে পশ্চাৎপদ মাদ্রাসা শিক্ষা। যেখানে একমাত্র আরবি ভাষাভিত্তিক শিক্ষাক্রম চলে, মাতৃভাষায় নয়। মাধ্যমিক স্তরের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষাঙ্গন রয়েছে সাধারণের জন্য। বাংলা মাধ্যমের ভালো শিক্ষাঙ্গনের এক প্রকার আকাল পড়েছে দেশে। গুণগত মান পূর্বাবস্থায় নেই। নেই বাংলা ভাষার প্রসার এবং বিকাশ। আমাদের শ্রেণি বিভক্ত সমাজের ছবিটি অত্যন্ত জাজ্বল্যভাবে ফুটে ওঠে ওই ত্রিমুখী শিক্ষাক্রমে। এছাড়া উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও বাংলা ভাষা উপেক্ষিতই বটে। দেশের বিচার বিভাগে অর্থাৎ আদালতে, বিচার ব্যবস্থায়, বিচারকের রায় প্রদান সবই ইংরেজি ভাষার অধীন। রাষ্ট্রভাষার অনুপ্রবেশ সেখানে আজো প্রবেশের অনুমতি পায়নি। বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হওয়ার পরও সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসেও নিশ্চিত হতে পারেনি। এর জন্য দায়ী আমাদের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা শাসকগোষ্ঠী যেমন তেমনি বিদ্যমান ব্যবস্থা। ওই দুটির পতন ছাড়া সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর যতই আওয়াজ আমরা তুলি না কেন, তাতে কাজের কাজটি যে হবে না এ বিষয়ে কোনোই সন্দেহ নেই। শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলেছি। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষার সঙ্গে আমাদের ভাষার মিল যেমন রয়েছে, তেমনি অমিলও কিন্তু কম নয়। কথাবার্তার ক্ষেত্রেই সেটা সর্বাধিক দেখা যায়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যটি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। রাজ্যের সরকারি ভাষা বাংলা। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বাঙালি। বাকি ৩০ শতাংশ বিভিন্ন উপজাতি ও জনজাতীয় সম্প্রদায়। জনজাতীয়দের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ত্রিপুরি। তাদের ভাষা ককবরক। এছাড়া জামাতিয়া, রিয়াং, নোয়াতিয়া ভাষীরাও রয়েছে। একমাত্র বাংলা ছাড়া অপরাপর ভাষাগুলোর নিজস্ব লিপি নেই। ত্রিপুরার মাণিক্য শাসনের শত-সহস্র বছরব্যাপী ককবরক ভাষী মাণিক্য রাজারা শাসন করলেও রাজকার্য পরিচালিত হতো বাংলা ভাষায়। কেননা ককবরক ভাষার লিপি না থাকার কারণে এবং ত্রিপুরা রাজ্যের অগ্রসর আধিবাসীরা সর্বাধিক বাঙালি বলেই ত্রিপুরার রাজারা বাংলা ভাষাকেই গ্রহণ করেছিলেন। ককবরক ভাষা লিখিত হয় বাংলা লিপিতে। হালে খ্রিস্টান মিশনারিদের কারণে উপজাতিরা মিশনারিতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। তাদের সংখ্যা নগণ্য হলেও ককবরক ভাষী ইংরেজি ভাষায় শিক্ষিত উপজাতিরা ইদানীং দাবি তুলেছে রোমান হরফে ককবরক ভাষার প্রচলন ঘটানোর। ত্রিপুরার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির বাংলা ভাষা পুরোপুরি পূর্ববঙ্গীয় ধাঁচের। পশ্চিম বাংলার প্রভাব নেই তাদের ভাষা-সংস্কৃতিতে। অনুরূপ আসাম রাজ্যের বাঙালিদের ক্ষেত্রেও দেখা যায় তাদের ভাষাও শতভাগ পূর্ববঙ্গীয়। পশ্চিম বাংলার ভাষার সঙ্গে কোনো মিলই নেই। অর্থাৎ আমরা শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির অগ্রগামিতায় এবং বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির কলকাতাকেন্দ্রিক একক আধিপত্যে পশ্চিম বাংলার মুখাপেক্ষী হয়েছিলাম বটে তবে আমাদের ভাষা-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য মিল ত্রিপুরা এবং আসাম রাজ্যের বাঙালিদের সঙ্গে সর্বাধিক। অথচ আমরা তাদের তেমন বিবেচনায় নিই না। ত্রিপুরা রাজ্যের চারদিকের তিন দিকের সীমানায় বাংলাদেশ। মাত্র একদিকে আসাম ও মিজোরাম রাজ্যের স্থলপথে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। অর্থাৎ রাজ্যটি বাংলাদেশের পেটের ভেতরেই। রাজ্যটি ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে ছিল না। মাণিক্য রাজবংশ রাজ্যটির শাসনকর্তা ছিল। ব্রিটিশদের করদরাজ্য রূপেই পুরো ব্রিটিশ শাসনামলে নিজেদের স্বকীয়তা তারা রক্ষা করেছে। সে কারণে রাজ্যের কোথাও ব্রিটিশ কিংবা মোগলদের স্থাপনা যেমন নেই, তেমনি নেই ঔপনিবেশিক ভাষা-সংস্কৃতির আধিপত্যে। স্বাধীন ভারতীয় ইউনিয়নে যুক্ত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে রাজ্যটি অনেকটা বিচ্ছিন্ন। এছাড়া ভারতীয় পুঁজিপতিরা অলাভজনক প্রদেশটিতে বিনিয়োগে না আসায় সেখানে হিন্দির আগ্রাসন তেমন ঘটেনি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার নানা পন্থায় সেখানে হিন্দির অনুপ্রবেশের চেষ্টা অবিরাম চালিয়ে গেলেও সচেতনভাবে ত্রিপুরাবাসী বাঙালিরা হিন্দি ভাষা-সংস্কৃতির মোহে নিজেদের ভাষা-সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্যকে রক্ষা করে আসছে। আসামের বাঙালিরা তো বাংলা ভাষার দাবিতে প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছে। আসামের বরাক উপত্যকাজুড়ে কেবল বাংলাভাষী বাঙালিদের আবাস। কিছু মনিপুরিও সেখানে আছে। ব্রহ্মপুত্র এবং বরাক উপত্যকায় অসমিয়া এবং বাঙালি দুই জাতির প্রাধান্যে অসমীয়দের বাঙালি বিদ্বেষ বহু পূর্ব থেকে আজ অবধি সক্রিয় মাত্রায় রয়েছে। আসাম অসমীয়দের একক আবাস অতীতেও ছিল না, আজো নেই। আসামে কংগ্রেসের ভোটব্যাংক ছিল বাঙালিরা। অসমীয়দের সমর্থন লাভের মোহে ইতিহাস খ্যাত অন্যায় কাজটি কংগ্রেস শাসক দলই করেছিল ১৯৬১ সালে। বাংলা ভাষার দাবিতে আন্দোলনকারী বাঙালিদের দমন করা হয়েছিল সশস্ত্র পন্থাবলম্বনে। ভাষা আন্দোলনকারী ১১ জন বাঙালি প্রাণ হারায় কংগ্রেস সরকারের নির্দেশে পুলিশের গুলিবর্ষণে। আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী ১১ জন শহীদের স্মৃতি বাঙালি মানস এবং ভারতের ভাষাভিত্তিক সংগ্রামের ইতিহাস থেকে মুছে যায়নি। আজো ওই দিনটিকে ভারতের সব বাঙালি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ভাষা সমস্যার সমাধান পাকিস্তানি শাসনামলে ভাষা আন্দোলনে আমরা অর্জন করেছিলাম। জাতি বিদ্বেষের চ‚ড়ান্ত পরিণতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়। ভারতে ভাষা বা জাতি সংকটের সমাধান উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়নি। পুরো ভারতীয় এক জাতি তকমা দেয়া হলেও, ভাষার সংকট সমাধান না হওয়া অবধি ভাষার জন্য বহু ভাষাভাষী ভারতের জন্য বিপদ বয়ে আনবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। ধর্মীয় বিভাজনে মানুষকে ভাগ করার যে রাজনীতি চলছে বহু ভাষাভাষী ভারতে ভাষার প্রশ্নেও ওই বিভক্তি অনিবার্যভাবেই সামনে চলে আসবে। তখনই ঘটবে অখণ্ড ভারতের জন্য সমূহ বিপদ। সেই বিপদ আঁচ করতে পেরেই শাসকগোষ্ঠী ধর্মের পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবেও ভারতীয়দের একাট্টা করতে হিন্দি ভাষাকে সরকারি ভাষা থেকে রাষ্ট্রভাষায় প্রতিষ্ঠিত করার ঘোষণা দিয়েছে। ওই ঘোষণার পরই বিভিন্ন ভাষাভাষীরা চরম ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশে বিলম্ব করেনি। হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ভারতের শাসকগোষ্ঠীর জন্য হিতে বিপরীত হবে যে তাতে সন্দেহ নেই। এতে দেশটির অখণ্ডতা চরম বিপদের মুখে পড়বে। সেখান থেকে বের হওয়ার কোনো পথ তারা খুঁজে পাবে না। ভাষা এবং জাতি বিভক্তিকে এড়িয়ে ধর্মের মোড়কে সব জাতিকে এক জাতিতে পরিণত করার হীন প্রচেষ্টার কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙেছে। পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অপর কোনো রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যদি একই পরিণতি ঘটে তাহলে বিস্মিত হওয়ার কারণ থাকবে না। ইতিহাসে অমন নজির তো নতুন নয়। জাতি ও সম্প্রদায় বিদ্বেষ কখনো কোনো রাষ্ট্রের জন্য শুভ ফল বয়ে আনে না। এটাই সত্য-বাস্তবতা। মযহারুল ইসলাম বাবলা : নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App