×

সাহিত্য

বইমেলা এখন সম্মিলনেরই আঙ্গিনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:২৬ পিএম

বইমেলা এখন সম্মিলনেরই আঙ্গিনা

বইকে নিয়ে এমন উন্মাদনা অন্যসময় দেখা যায় না। বইমেলা এখন সম্মিলনেরই আঙ্গিনা হয়ে গেছে। তার উপর এবার মুজিববর্ষ পালিত হচ্ছে। এটা তো ভাবতেই ভালো লাগছে, এক ধরণের শিহরণ রোধ করছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই এবার সমস্ত কিছু আবর্তিত হচ্ছে। তিনি স্বশরীরে নেই, তাঁর না থাকাটা আরো বেশি করেই যেন থাকা। তিনিই জাতির প্রাণ। বইমেলা প্রসঙ্গে ভোরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট অভিনেতা মামুনুর রশীদ এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত জানালেন।

তিনি বলেন, যৌবনে বইমেলা খুবই টানতো। অন্য কাজ বাদ দিয়ে সারাদিনই মেলায় পড়ে থাকতাম। সেই সময় মানুষ কম, প্রকাশক কম, লেখক কম ছিলো। আমরা আমরাই জমিয়ে রাখতাম। এখন তো মানুষ বেড়েছে দ্বিগুন, তিনগুন, চতুর্গুণ। প্রকাশকও বেড়েছে। অনেক নতুন নতুন লেখক এখন। নতুন ভাবনা তাদের। আমাদের সময়ে বইমেলার একটা আপন চরিত্র ছিল। সেটা এখন নেই। যে চরিত্র এখন আর খুঁজে পাই না। নতুন নতুন মুখ মেলাকে মাতিয়ে রাখে।

ছেলে বেলার স্মৃতিচারণ করে মামুনুর রশীদ আরো বলেন, মেলাহীন ছিল আমার ছেলেবেলা। আমরা মেলা পেয়েছি মুক্তিযুদ্ধের পরে, অর্থাৎ ৭৪/৭৫ সালের দিকে। তখন ওই মেলার পরিবেশ ছিল অন্তরঙ্গ। মুষ্টিমেয় কিছু স্টল, মুষ্টিমেয় কিছু লোক আমরা এখানে ওখানে বসে বসে চা খাচ্ছি আড্ডা দিচ্ছি। মেলায় সকালে আসতাম, মেলায় ম্যারাথন আড্ডা দিয়ে রাত্রে বাড়ি যেতাম। আরেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে, আশি দশকজুড়ে মেলাটা ছিল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র। এখানে আমরা পথ নাটক করতাম। মিটিং করতাম। কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকর্মী, সংস্কৃতি কর্মীরা একত্রিত হয়ে সভা সমাবেশও করেছি। সবার চায়ের বিল দিতেন সাংবাদিক ফয়েজ ভাই। সে এক মধুর স্মৃতিময় দিন। মেলায় এলে আমি এখনও ফয়েজ ভাইকে মিস করি।

তিনি বলেন, মেলার অনেক বদল ঘটেছে। এর কলেবর অনেক বড়ো হয়ে গেছে। বইয়ের স্টল অনেক বেড়ে গেছে। এর বিস্তৃতি হয়েছে অনেক। আগের মতো ওইরকম অন্তরঙ্গ জায়গা পাওয়া যায় না। সব জায়গায় এতো ভীড়! দাঁড়ানোরই জায়গা পাচ্ছি না। সেসব কারনে একটু কম আসা হবে। অসুস্থতাও এর আরেকটা কারণ। কিন্তু মেলা আমাকে টানেই। এটা তো বাঙালির প্রেরণার জায়গা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App