×

সারাদেশ

ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:০৯ এএম

ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র

চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার ( বিকেলে এ অভিযোগে চট্টগ্রামের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মামলা করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন মো. ইয়াছিন নামে ওই ব্যবসায়ী। মামলায় দুই দফায় ২৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারকে (প্রশাসন ও অর্থ) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি আতাউর রহমান খন্দকার, বর্তমান ওসি প্রিটন সরকার, এসআই মো. আফতাব, এএসআই মো. ইব্রাহিম, এএসআই মিঠুন নাথ, কনস্টেবল রহমান ও সাইফুল। মামলার বাদী মো. ইয়াছিন নগরীর পলিটেকনিক্যাল এলাকার মেসার্স ইয়াছিন এন্টারপ্রাইজের মালিক। তিনি ইট-রড-বালু ও সিমেন্টের পাইকারি ব্যবসায়ী।

বাদীর আইনজীবী শহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ব্যবসায়ী ইয়াসিনকে জোর করে তুলে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে দুই দফায় ২৩ লাখ টাকা আদায় করা হয়। দ্বিতীয়বার ৪ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিএমপি কমিশনার ও চট্টগ্রামের ডিআইজি বরাবর ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ আকারে জানানো হয়েছে। এরপরও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আদালতে মামলা করা হয়। আসামিদের মধ্যে বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি আতাউর রহমান বর্তমানে নগরীর চান্দগাঁও থানায় ওসি পদে আছেন। আর বায়েজিদ থানার বর্তমান ওসি প্রিটন সরকার ঘটনার সময় এই থানার এসআই ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার সাবেক ওসি আতাউর রহমান খন্দকার ও বর্তমান ওসি প্রিটন সরকার ভোরের কাগজকে বলেন, যিনি মামলা করেছেন, আমি তাকে চিনিও না। এরকম কোনো বিষয় জানিও না। এমন মিথ্যা অভিযোগ কেন করা হলো তা বুঝতে পারছি না।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর এসআই আফতাবের নেতৃত্বে মামলার আসামি এএসআই মো. ইব্রাহিম, এএসআই মিঠুন নাথ, কনস্টেবল রহমান ও সাইফুল বাদীকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে থানায় নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই টাকা না দিলে তাকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অথবা ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। এরপর ইয়াছিনের ভাই মো. ফারুক ১১ লাখ টাকা জোগাড় করে থানায় গেলে ওই টাকা নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে কাউকে জানালে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এজাহারে বলা হয়, এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ড থেকে ফেরার পথে নগরীর শেরশাহ গোলচত্বর এলাকায় অটোরিকশার গতিরোধ করে ইয়াছনিকে আটকে মাইক্রোবাসে তুলে নগরীর আমিন জুট মিল, মোহাম্মদ নগর, মিরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে অনন্যা আবাসিকের একটি অন্ধকার স্থানে মাইক্রোবাস দাঁড় করানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে আবার ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হয় আবারো। এরপর বাদীর ভাই মো. ফারুক ১২ লাখ টাকা জোগাড় করে থানায় যায়। ওই টাকা নিয়ে মামলার আসামি দুই কনস্টেবলকে দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। টাকা পেয়ে রাত ১২টার দিকে আতুরার ডিপো এলাকায় জনতা ব্যাংকের সামনে ইয়াছিনকে নামিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App