×

সারাদেশ

বাঁশের সাঁকোই ভরসা ১৫ গ্রামের মানুষের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:৩১ পিএম

বাঁশের সাঁকোই ভরসা ১৫ গ্রামের মানুষের

মহারশি নদীর ওপর বাঁশের সাঁকোই ভরসা ১৫ গ্রামের মানুষের

বাঁশের সাঁকোই ভরসা শেরপুরের ঝিনাইগাতীর উপজেলা সদর ইউনিয়নে আহাম্মদনগর ও গৌরীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। ৪ যুগ ধরে গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও রাস্তার মাঝখানে মহারশি নদীর ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও নির্মিত হয়নি সেতু। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ রাস্তায় চলাচরকারী বাসিন্দাদের। বনগাঁও গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী, মোফাজ্জল হোসেন, নুরুল হকসহ গ্রামবাসীরা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি উঠে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। চতল গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন, মোতালেব, চাঁন মিয়া, নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে জানান, এ নদী পার হয়ে এ পথে বনগাঁও, চতল, আহাম্মদনগর, দিঘীরপাড়, হলদিবাটা, জিগাতলা, কালাকুড়া, রামনগর, নয়াপাড়া, খন্দকারপাড়া ও মাটিয়াপাড়াসহ প্রায় ১৫ টি গ্রামের শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। ওই গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান, নাসির উদ্দিন, আবু বক্কর ও আলম মিয়া জানান, এ নদীর ওপর সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই এসব গ্রামের মানুষের পারাপারে একমাত্র ভরসা। এতে স্কুল, কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নদী পারাপারে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। সেতুর অভাবে এ পথে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদী পশু পারাপারে কৃষকদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। অনেকসময় নদীর এপাড় থেকে ওপাড় যেতে পাঁচ, সাত কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। গৌরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু বলেন, এখানে সেতু নির্মানের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিভিন্ন সময় আলোচনাও হয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, সেতু নির্মাণের নকশা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। যেকোন সময় টেন্ডার আহ্বান করা হতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App