×

সারাদেশ

গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৭:৪২ পিএম

গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ইয়াসমিন বেগম (৪০), ভাওয়াল গাজীপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ফ্রেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর গজারিয়া পাড়া (ভাওয়াল গাজীপুর) এলাকায় থেকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে মেট্রে ডিবি পুলিশ ইয়াসমিনকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে আনার পর তার মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ্য জনিত কারণে ওই ইয়াসমিন মারা গেছেন। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের ছেলে আরাফাত রহমান জিসান বলেন, তার বাবা আব্দুল হাইকে মাদক মামলা গ্রেপ্তার করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহানগর ডিবি পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক নুরে আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তার বাবা আব্দুল হাইকে না পেয়ে কলাপসিবল গেইট ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। পরে ডিবির সদস্যরা তার মা ইয়াসমিনকে মারধর করে এবং আটক করে নিয়ে যায়। পরে মায়ের মোবাইলে ফোন দিলে ডিবির সদস্যরা তাকে ডিবি অফিসে যেতে বলে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আবার ডিবি অফিসে না গিয়ে হাসপাতালে যেতে বলে। হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাকে ভেতরে যেতে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ জানায়, জিসানে মা মারা গেছেন। তবে তার মা একজন হৃদরোগী ছিলেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মনজুর রহমান পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিহতের ভাওয়াল গাজীপুর এলাকার বাড়িতে মাদক বেঁচা কেনা হচ্ছে এমন খবরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে মাদক মামলার আসামি ইয়মিনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার হেফাজত থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা। এসময় তার মাদক ব্যবসায়ি স্বামী পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর ইয়াসমিনকে গোয়েন্দা অফিসে নিলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীরক্ষার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়াসমিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিাকালে ইয়াসমিন মারা যান। ইয়াসমিন ও তার স্বামী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০টা ১০মিনিটে ইয়াসমিনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় তার বুকে ব্যাথা ও প্রচন্ড শ্বাস ছিল। পরে তার ইসিজিও করা হয়। লক্ষণ থেকে প্রাথমিকভাবে বুঝা গেছে তিনি স্ট্রেক করেছেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। হার্ট অ্যাটাকে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে বাহ্যিকভাবে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App