গাজীপুরের শ্রীপুরে হাফেজিয়া মাদ্রাসার সাহাদাত হোসেন (১১) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে ময়মনসিংহের পাগলা থানার গোয়ালবর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কাওরাইদ শিমুলতলা গ্রামের হুসাইনিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীর মা সাহেরা খাতুন জানান, সাহাদাত হোসেন মাদরাসার আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করছে। রোববার সকালে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ জহিরুল ইসলাম বিনা কারনে আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে। নির্যাতনের কারনে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। পরে অন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মাদরাসা থেকে সাহাদাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ছাত্র মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, অসুস্থ থাকায় আমি নিয়মিত আমার পাঠ আদায় করতে পারিনি। এ অপরাধেই শিক্ষক আমাকে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, রোববার ফজরের নামাজের দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর সাহাদাত মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। তাকে অনেক খোজাঁ খুজির পর পাওয়া যায়। হঠাৎ চলে যাওয়াতে আমরা আতংকে ছিলাম। পাওয়ার পর তাকে কয়েকটা পিটুনি দিয়েছি। এ কাজটি আমার ঠিক হয়নি, তবে এর সমাধান চাই। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি পরে শোনেছি কিন্তু আমার একটু সময়রে অভাবে বিষয়টি নিয়ে বসতে পারিনি। অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, বিষয়টি আমাদেরকে কেউ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।